শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বীজতলার সঙ্গে শত্রুতা

বীজতলার সঙ্গে শত্রুতা
  • অনিশ্চিত ৪৫ বিঘার আমন চাষ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রদর্শনীর ১৫ বিঘা বিজতলাসহ কৃষকের ৩০ বিঘা জমির বীজতলা আগাছানাশক ওষুধ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। মৌলভীবাজার উপজেলার আশীদ্রোন ইউনিয়নের টিকরিয়া ফটকী গ্রামে কৃষক এম এ মালেক রুবেলের বীজতলায় এ ঘটনা ঘটে। বীজ নষ্ট হওয়ায়, চলতি মৌসুমে ৪৫ বিঘা আমন ধানের চারা রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এ ঘটনায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এম এ মালেক রুবেল দুই জনের নাম উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলার আশীদ্রোন ইউ‘পি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

কৃষক এম এ মালেক রুবেল ৪৫ শতক বীজতলায় ব্রি-৮০, জাতের ৫০ কেজি, ব্রি ৪৯, জাতের ৫০ কেজি, বিরুইন জাতের ১ কেজি, চিনিগুড়া জাতের ১০ কেজি, স্বর্ণা-৫ জাতের ৩ কেজি বীজ বপন করে।

বীজ গজানোর পর থেকেই এলাকার আনকার মিয়া, মো. আনোয়ার মিয়ার ২০ থেকে ৩০টি ছাগল দিয়ে প্রায়ই ক্ষতি করে আসছিল। গত ২৫ জুলাই ৩টি ছাগল ধরে খোয়াড়ে দেন মালেক। এরই জের ধরে রাতের আঁধারে আগাছানাশক ঔষুধ প্রয়োগ করা হয়। এতে ধানের চারা লাল হয়ে মরে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী কৃষক এম এ মালেক রুবেল বলেন, ১৫০ কেজি ধানের বীজতলা দিয়ে চলতি মৌমুমে ৪৫ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। রোপণ কাজ শেষে অবশিষ্ট চারা বিক্রি করার কথা ছিল। তবে, বীজ গজানোর পর থেকেই আনকার মিয়া ও আনোয়ার মিয়া ছাগল দিয়ে প্রায়ই ক্ষতি করে আসছিল। তাদের ছাগল খোয়াড়ে দেওয়ার কারণে আমার বীজতলায় ঔষুধ প্রয়োগ করে। ঔষুধের প্রভাবে ধানের চারা লাল হয়ে মরে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  বিশ্বে বেশি বজ্রপাত সুনামগঞ্জে

কৃষক রুবেল বলেন, আমি কৃষি অফিসে গিয়ে ছিলাম, কৃষি কর্মকর্তা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন চারা রোপন করা যাবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আনকার মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা কীটনাশক দিয়ে ধানের চারা মারছে।  রুবেল আমাদের দুই ভাইকে দায়ি করছে। যারাই ধানের চারা মারছে।  তারা কি ভাত খায় না? কেন এ ক্ষতি করলো, যারা এই কাজ করেছে তাদের খুঁজে বের করা হোক।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। তবে প্রশাসন ছাড়া আমরা কিছু করতে পারবো না। প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত ২৭ জুলাই নির্বাচন, ২৮ জুলাই আমাদের মিটিং থাকায় জ¦লে যাওয়া বীজতলা পরিদর্শন করতে পারিনি। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, কৃষক মালেক আমাদের একজন কর্মী। সেখানে ১৫ বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদন প্রর্দশনী ছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন