সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের মেয়ে পিয়েতার বয়স মাত্র আড়াই বছর। সে গুছিয়ে বাংলা বলে। কিন্তু কাছাকাছি বয়সের আরও অনেক ছেলেমেয়ের দিকে তাকালে বাপ্পা দেখতে পান, তারা বাংলার চেয়ে ইংরেজিতেই কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। বাংলা নিয়ে একধরনের উদাসীনতা বা ভীতি কাজ করে তাদের মধ্যে। এ ব্যাপারে ইদানীং ভাবাচ্ছে বাপ্পা মজুমদারকে।
এ সংগীতশিল্পী বলেন, আমি বাংলায় গান গাই, বাংলায়ই কথা বলি। যুগের পর যুগ এই বাংলাকেই ধারণ করি বুকে। কালের পরিক্রমায় সবকিছুতেই অল্পবিস্তর পরিবর্তন আসবে, যা অনস্বীকার্য। কিন্তু বাংলা পরিবর্তিত না হয়ে বরং নতুন প্রজন্মের কাছে হারিয়েই যাবে? এ চিন্তা ক্রমেই ব্যস্ত করে তুলেছে আমাকে।
এ ভাবনা থেকেই নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছেন বাপ্পা। গানের পাশাপাশি তিনি নিজের ফেসবুক পেজে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু করেছেন। আলোচনার বিষয় হচ্ছে, নতুন প্রজন্মের বাংলাচর্চা। এটা নিয়ে দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলবেন তিনি। জানবেন বাংলা ভাষার চর্চা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁদের মতামত। প্রথম পর্বে বাপ্পার সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব রুবাবা দৌলা। বাপ্পা মজুমদার জানান, এ বিষয়ে কথা বলতে দেশের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের মুখোমুখি হবেন তিনি। জানবেন তাদের মতামত।
বাপ্পা মজুমদার জানান, আমাদের সন্তানেরা যেভাবে বড় হচ্ছে, বাংলা ভাষা তাদের জীবনে কীভাবে আছে? তারা বাংলাকে নিয়ে কী ভাবছে? এসব প্রশ্ন আমার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ইংরেজি নিয়ে আমার কোনো বিরোধ নেই। ইংরেজি জানা তো ভালো কথা। কিন্তু যে পন্থায় আমরা শিশুদের বাংলা শেখাচ্ছি, আমরা অজান্তেই তাদের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রতি ভীতি তৈরি করছি কি না? সেটি নিয়ে বোধ হয় আমাদের ভাবার সময় এসেছে।’
তিনি আরও জানান, এ আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধান খুঁজতে চান তিনি। শিশুদের বাংলা ভাষা শেখা ও চর্চার জন্য অভিভাবকদের সচেতন করতে চান।
আনন্দবাজার/টি এস পি