জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে বর্তমান জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটির বেশি। দেশে ১১ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার জন।
এবারের গণনাতে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাসকারীর সংখ্যাও বেড়েছে। আশার কথা হচ্ছে, কমেছে মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। সরকারি হিসাবে ঢাকার দুই সিটিতে এখন জনসংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮২ জন। এবং দেশে সাক্ষরতার হার ৫১.৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.৬৬ শতাংশে।
আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।
তিনি বলেন, গত ১১ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন। যা বর্তমানে ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
নারী-পুরুষের অনুপাত ৫০.৫০ এবং ৪৯.৫০। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯৭৬ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১১১৯ জনে। ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার হিসাবে মুসলমানের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেছে সনাতন হিন্দু।
জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার ৫ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৭২ জন শহরে বাস করেন। পল্লী জনপদে বাস করেন ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, জনসংখ্যা বাড়ার গতি কমেছে, সবদিক থেকে এটি অসাধারণ, দুটো দিক থেকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা আর দুই হচ্ছে বাংলাদেশ কতটুকু অগ্রসর হয়েছে এই জনশুমারির মাধ্যেমে কিন্তু দেখা যায়।
৫১.৭৭ শতাংশ থেকে সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.৬৬ শতাংশে। বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করেন দেশের ৯৯.২৫ শতাংশ মানুষ। টিউবওয়েলের পানি পান করেন ৮৫.৬৫ শতাংশ জনগণ। দেশে মোট হিজড়া জনগোষ্ঠী আছেন ১২ হাজার ৬২৯ জন। মোট প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৬০৪ জন। এছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৫.৮৩ শতাংশ থেকে কমে নেমেছে ১৪.৬৬ শতাংশে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাঝামাঝি সময়ের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন এককভাবে বৃহৎ ভূমিকা পালন করবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি
