ঢাকা | রবিবার
২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস পালিত

ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস পালিত

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুরে ১৯৭১ সালে পাক-বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হওয়া সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মরণে নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ও স্থানীয় উপজেলা ইউনিট কমান্ড দিবসটি উপলক্ষে নাজিরপুরে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে এবং পাশের ইউনিয়ন লেঙ্গুরায় সাত শহীদের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং গার্ড অব অনারের মধ্যমে শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালি, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস, জেলা পরিষদ প্রশাসক প্রশান্ত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফকরুজ্জামান খান জুয়েল, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, কলমাকান্দা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাসেম,  নেত্রকোনা পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, নেত্রকোনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস প্রমুখ। এছাড়াও বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা অন্যান্য বছরের মতো এবারও এসব কর্মসূচিতে যোগ দেন।

উল্লেখ্য,  ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই নাজিরপুরে মুক্তিবাহিনীর ওপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ করেছিল পাকহানাদার বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারাও তখন পাল্টা গুলি চালিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে এই সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন সাত মুক্তিযোদ্ধা। এ সময়ের শহীদ যোদ্ধারা হলেন, নেত্রকোণার ডা. আব্দুল আজিজ, মো. ফজলুল হক, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মো. ইয়ার মাহমুদ, ভবতোষ চন্দ্র দাস, মো. নুরুজ্জামান, দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ও জামালপুরের মো. জামাল উদ্দিন।

এ দিনটি উপলক্ষে আজ স্থানীয় মসজিদে মিলাদ এবং গীর্জা ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া বন্যাদুর্গত আশ্রয়হীন বীর মুক্তিযোদ্ধা দশটি পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ ও বন্যাদুর্গত ২শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন