- পানছড়ির সঙ্গে খাগড়াছড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ৪নং লতিবান ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড নালকাটা এলাকায় খাগড়াছড়ি-পানছড়ি উপজেলা সড়কের কালর্ভাট দেবে গেছে। এতে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি উপজেলা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সাড়ে ১১ টার দিকে কালভার্টটি দেবে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকল্প পথ দিয়ে মানুষ ধান ক্ষেত ও পানিতে হেঁটে গাড়িতে উঠছেন। আবার অনেকে বিকল্প হিসেবে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া এলাকা হয়ে খাগড়াছড়ি-পানছড়িতে যাতায়াত করছেন। ধসে পড়া পাশে দুটি দোকান, বৌদ্ধ বিহারের গেইট ও বিদ্যুৎ কুঠি ধসে পড়ার পথে। কালভার্ট সংলগ্ন দোকানদার তুচি চাকমা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালভার্টটি ধসে পড়ে যায়। দোকান থেকে বের হয়ে দেখি কালর্ভাট দেখা যাচ্ছে না, নিচে পড়ে যায়।
কমলা চাকমা ও নিমুলা চাকমা বলেন, পানছড়িতে বেড়াতে এসেছি। দুপুরে দীঘিনালা উপজেলার মধ্য বোয়ালখালী নিজের বাড়ি যেতে এসে দেখি কালভার্ট ধসে পড়ে গেছে। হাতে জুতা নিয়ে দূরের পথ ধান খেতের পানি দিয়ে হেঁটে কষ্ট করে সড়কে উঠতে হচ্ছে।
সিএনজি চালক আল আমিন বলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা থেকে বাজার নিয়ে পানছড়ি বাজারে যাব। কালর্ভাট ভাঙ্গা। মালামাল নিয়ে আবার ঘুরে মাটিরাঙ্গায় যেতে হবে।
নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিস দত্ত চাকমা বলেন, ভারি বৃষ্টিতে কালভার্টটি ধসে পড়ে যায়। পানছড়ির সঙ্গে খাগড়াছড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ করা হোক।
৪নং লতিবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভুমিধন রোয়াজা বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ দ্রুত মেরামত হোক অথবা নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করা জরুরি। ধসে পড়া কালর্ভাটের পাশে আপাতত মানুষ পারাপারের জন্য সাঁকো ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
পানছড়ি উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা বলেন, এ রকম কালভার্ট নির্মাণের কোনো বরাদ্দ নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে থাকা যাবে না। কিছু একটা ব্যবস্থা করতে হবে। জরুরি মুহুর্তে সড়ক বিভাগ কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছড়ার দুই পার ভেঙ্গে যাচ্ছিল। আজ প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের কারণে এ কালভার্টটি দেবে গেছে। অতি দ্রুত একটি বেইলি ব্রিজ বসাবো। নির্মাণ কাজ শেষ হতে তিন-চার দিন সময় লাগবে।
তিনি বলেন, এ সড়ক পানছড়ি উপজেলার যোগাযোগের একটা সড়ক হলেও এর একটা বিকল্প সড়ক আছে। ভাইবোনছড়া থেকে চেঙ্গী পারের পশ্চিম পার দিয়ে এলজিইডির সড়ক আছে। ওই সড়কটি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।