চলতি আমন ধান রোপন মৌসুমে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ কমান্ড এলাকায় খরিপ-২ এ সেচ পাচ্ছে ৬৩ হাজার হেক্টর জমি। যখন প্রখর রোদে চারদিক তপ্ত, বিস্তৃত ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা সেচ উত্তরাঞ্চলের তিন জেলার ১২ উপজেলায় সেচ প্রদান অব্যাহত রেখেছে। ফলে কমান্ড এলাকার কৃষকদের কাছে তিস্তা সেচ প্রকল্প আর্শিবাদ হয়ে এসেছে।
গতকাল রবিবার সকাল থেকে নীলফামারীসহ রংপুর বিভাগের বিভিন্নস্থানে বৃস্টি হচ্ছে। মাঝারি ধরনের বৃস্টি হলেও আমন আবাদে এই বৃস্টি কৃষকদের বড়ই উপকার বয়ে আনছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিবিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদদৌলা জানান, খরিপ-২ আমন মৌসুমে এবার রংপুর, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ১২টি উপজেলায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর সদর, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া; নীলফামারী সদর, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, সৈয়দপুর এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার কৃষকরা এই সেচ পাচ্ছেন। এই সুত্র মতে উত্তরাঞ্চল খরাপিড়িত এলাকা জন্য তিস্তা ব্যারাজ আজ আর্শিবাদে পরিনত হয়েছে কৃষকদের কাছে। তিস্তা সেচ কমান্ড এলাকার কৃষকরা জানায় বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পে বিশেষ দৃস্টি রাখায় উত্তরাঞ্চলের কমান্ড এলাকার কৃষকরা বর্তমানে তীব্র খরায় সেচের মাধ্যমে আমন চারা জমিতে রোপন করছে। কৃষক মোজাহার আলী বলেন, মূলত আষাঢ়ের বৃষ্টিই ভরসা আমন চাষিদের। তবে এবার আষাঢ় শেষে শ্রাবণেরও আট দিন পেরিয়ে গেছে বৃষ্টির দেখা মিলেছে।
চলতি বছরে রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৫ জেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত আমনের চারা রোপন হয়েছে মাত্র দুই লাখ হেক্টরে। ধারনা করা হচ্ছে বৃস্টির পানি ও সেচের মাধ্যমে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমন চারা রোপন শেষ করতে পারবে কৃষক। এবার নীলফামারীতে ১ লাখ ১৩ হাজার ১০০ হেক্টর রংপুরে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৫ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর ও লালমনিরহাটে ৮৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন রংপুর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক মাহাবুবুর রহমান।