ঢাকা | শনিবার
২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেতুর অ্যাপ্রোচ ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

সেতুর অ্যাপ্রোচ ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ধলেশ্বরী নদী ঘেঁষা টাঙ্গাইল দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়ন। সামন্য বর্ষায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। চলতি বর্ষায় এ অঞ্চলে তেমন পানি না থাকলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কের সেতুর অ্যাপ্রোচ ধসে উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তারা। এতে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার এ্যালংজানী নদীর ওপর সিলিমপুর সেতুটি ধসে এ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। ফলে এ অঞ্চলের ২০ টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ সেতু হয়ে সিলিমপুর থেকে দেউলী-টেউরিয়া হয়ে এলাসিন, বাবুপুর হয়ে গোল চত্ত্বর যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এদিকে তিনদিন পার হলেও সেতুটি মেরামত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির জানান, বেশ কিছুদিন আগে সেতুর উভয় পাশে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে একটি চক্র বালু উত্তোলন শুরু করে। যার ফলে বর্ষার আগেই অ্যাপ্রোচটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়। বর্ষার প্রকট না থাকলেও সামান্য শ্রোতেই ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ্রোসটি ধসে পড়ে। গত তিনদিন ধরে সেতুর দুপারের মানুষদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান দেউলী ইউনিয়নের সাবেক এই চেয়ারম্যান।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ অ্যাপ্রোসটি ধসে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ। সেতুর এক পাশ ভেঙে যাওয়ায় বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় স্থানীয়রা ছোট নৗকায় নদী পারাপার হচ্ছেন। ভুক্তভোগিরা আরও জানান, সম্প্রতি বন্যার শুরুতেই সেতুর আশপাশে নদীভাঙন দেখা দেয়। সে সময় সেতুর কিছু অংশ ভেঙে গেলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে তেমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। তবে পুনরায় নদীর পানি কমতে শুরু করায় আবারও ভাঙন দেখা দেয়। এতে এ্যালেংজানী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর এক পাশের অ্যাপ্রোচ পুরোটা ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের প্রায় ২০ গ্রামসহ চরাঞ্চলের মানুষের উপজেলা ও জেলা শহরের যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহমিনা হক জানান, এই সেতু দিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ চরাঞ্চলের মানুষ  জেলা ও উপজেলা শহরে চলাচল করে। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়া চরম দুর্ভোগে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।

দেলদুয়ার উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছেদ জানান, সেতুতে স্টিলের পাত বসিয়ে প্রাথমিকভাবে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হলে মানুষজন চলাচল করতে পারবে। তবে ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন