পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ‘ত্রাণ নয়, বাঁধ চাই’ দাবিতে শত শত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ মানববন্ধন করেছে। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের কালা মিয়ার স্লুইজ এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় রাবনাবাদ নদী ভাঙনে বিলীন হওয়া চান্দুপাড়া বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি জানান বক্তারা।
গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অমাবস্যা ও পূর্নিমার জোর প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে প্রবেশ করে। এতে লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়া, চান্দুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, মঞ্জুপাড়া, নাওয়াপাড়া, বড় পাঁচনং, ছোট পাঁচনং ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ কারণে বন্ধ হয়ে যায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ। ভেঙ্গে পড়ে স্যানিটেশণ ব্যবস্থা। দেখা দেয় তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকট। দীর্ঘ বছর ধরে ভাঙা এ বাঁধের কারণে এ ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর আগে এ জলাবদ্ধতার মধ্যে রাস্তা ও সাঁকো পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে ছয় বছরের শিশু রনি বিশ্বাস ও ১৪ মাসের শিশু জুলাইফা মারা গেছে। এছাড়া বাঁধ না থাকায় জোয়ারে পানি বাড়লেই প্রায় ১২শ’ একর ফসলি জমি তলিয়ে যায়। চলতি বছর আমন চাষাবাদ শুরু হলেও গত ১৫ দিনের স্থায়ী জলাবদ্ধতায় প্রায় একশ’ একর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর দাবি, চর চান্দুপাড়া গ্রামের ভাঙা বাঁধটি অতি দ্রুত মেরামত করা হোক। একই সাথে চান্দুপাড়া গ্রামে পানির চাপে ভেঙে পড়া কালা মিয়ার চার ভেল্টের স্লুইজটি সংস্কার করা হোক। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চান্দুপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুদ হাওলাদার জানান, চান্দুপাড়া বাঁধের বর্তমানে ১৮টি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী অমাবস্যার জোয়ারে পানি বাড়লেই এ ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ভেঙ্গে নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।