দেশের বৃহত্তর চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে মাছ উৎপাদন ও রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার চাহিদাও পূরণ করে অন্যত্র মাছ রপ্তানি এবং মৎস্যশিল্পের টেকশই উন্নয়নের জন্য সঠিক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য অফিস কর্র্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস এমপি। পোনা অবমুক্তকরণ, র্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে সহকারী কমিশনার(ভুমি) আবু রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
এ সময় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোবাশ^ীর হোসেন মৎস্য সম্পদ সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, গুরুদাসপুরে ২লাখ ১৪ হাজার মানুষের আমিষের চাহিদা গড়ে ৬৫ গ্রাম হয়েছে। ৫ হাজার ৭৭০ মে. টন মাছ প্রয়োজন। সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে ১০ হাজার ৯১৩ টন। মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় ৫ হাজার ৮৩৫টি ব্যক্তি মালিকানাধীন ও ৩২টি সরকারি পুকুর, ৯টি নদী, বাণিজিক খামার রয়েছে ৪শ’ টি। মোট চাহিদা রয়েছে ৫ হাজার ৭০৭ মে. টন। উদ্বৃত ৫ হাজার ১৪৩ মে. টন। উপজেলার উদ্বৃত্ত মাছ অন্যত্র রপ্তানি করা হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৩৮৮ জন মৎস্যজীবি রয়েছেন। তিনি আরও জানান, অবৈধভাবে মা ও ছোট মাছ নিধনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে এটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।