নেত্রকোনার দুর্গাপুরের একটি খাল থেকে এক হাজং নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ছনগড়া খাল থেকে থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত নারীর নাম সুশীলা হাজং (৫০)। তিনি কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বগাউড়া গ্রামের জ্ঞানেন্দ্র হাজংয়ের স্ত্রী। সুশীলা হাজং দিনমজুরির কাজ করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সুশীলা হাজং শুক্রবার সকালে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। স্বজনরা খোঁঝাখুঁজি করেও তার কোনো হদিস পাননি। শনিবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয়রা ছনগড়া খালে এক নারীর মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে সুশীলার পরিবারের সদস্যরা এসে এটি সুশীলার মরদেহ বলে নিশ্চিত করেণ।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সুশীলা সাঁতার জানতেন না। তাই ধারণা করা হচ্ছে, তিনি খাল পেরোনোর সময় পানিতে ডুবে মারা গেছেন। স্বজনদের মতামত নিয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে দুর্গাপুরে আব্দুল মালেক (৩০) নামে এক প্রতিবন্ধী নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের ধানক্ষেতের আইলের সাথে পানি জমাট গর্ত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার বিকেলে গরুর বাছুর খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। মৃত যুবক কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের আজিজুল রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে আব্দুল মালেক গরুর বাছুর খুঁজতে বের হন ইন্দ্রপুর গ্রামে। এরপর সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতের আইলের সাথে পানি জমাট গর্তে তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, আব্দুল মালেক একজন প্রতিবন্ধী যুবক। ধারণা করছি গরুর বাছুর খুঁজতে গিয়ে ক্ষেতের আইল দিয়ে যাওয়ার সময় পানি জমাট গর্তে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।