ঢাকা | সোমবার
১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপকূলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি

উপকূলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি

সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের আয়োজনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের সহযোগিতায় স্বদেশ, কাটিয়া, সাতক্ষীরাতে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় উপকূলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের দাবী করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সদস্য সচিব ও স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, সদস্য ও সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সদস্য ফরিদা আক্তার বিউটি, সাংবাদিক শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, আমিনা বিলকিস ময়না সহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ প্রমূখ।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ। যেখানে ক্রমবর্ধমান হারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধ ভাঙন, অধিক বৃষ্টিপাত, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, খরা ও লবনাক্ততা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিত্যদিনের সঙ্গী। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের সংকটকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং উপকূলের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম কাজ করে যাচ্ছে।

গত কয়েক বছর আগে উচ্চ জোয়ারের প্রভাব এত প্রকট না থাকলেও গত বছর এবং সম্প্রতি উচ্চ জোয়ারের প্রভাবে উপকূলের বেড়িবাঁধ উপচিয়ে লবণ পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে মানুষকে ঘর ছাড়া করেছে। খাদ্য, পানি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সভায় উপকূলের সংকটে করনীয় বিষয়ক আলোচনা হয়। উপকূলে জরুরী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান ও উপকূলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের দাবী তুলে ধরা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধের জন্য সরকারী মহলে অনেক তদবির করেও এখনও তার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি একনেকে ১৩, ১৪ এবং ১৫ নং পোল্ডারের জন্য আলাদা অনুমোদন হলেও তার কাজ এখনও শুরু হয়নি। এছাড়া দুটি বাজেট দিয়ে গোটা উপকূলের বেড়িবাঁধ তৈরি করাও সম্ভব নয়। বর্ষা মৌসুমে আবারও উপকূলের ভয়াবহ ক্ষতির সম্ভাবনা বিরাজ করছে। উপকূলের সংকট সমাধানে উপকূলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।

বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরাতে খাল খননের নামে যে কাজ চলছে তা আরও জলাবদ্ধতা তৈরি করবে। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

সংবাদটি শেয়ার করুন