ঢাকা | সোমবার
১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সয়াবিনে বিশ্ববাজারের সুখবর

সয়াবিনে বিশ্ববাজারের সুখবর

দাম কমলো খাতুনগঞ্জে

  • বোতলজাতে লিটারে কমলো ১৪ টাকা

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারেও কমানো হয়েছে ভোজ্যতেলের। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে রিফাইনার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমার প্রেক্ষিতে দেশীয় বাজারে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৬ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সয়াবিন তেলের পাশাপাশি পামতেলের দামও ৬ টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে পামতেলের নির্ধারিত দাম ১৫৪ টাকা। সেটির নতুন দাম ১৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

এর আগে গত ২৬ জুন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তার আগে ৯ জুন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়ানো হয়। মূল্যবৃদ্ধির পর সে সময় এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৮৫ টাকা। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিনের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয় ২০৫ টাকা।

এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমে যাওয়ার প্রভাবে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কমেছে ভোজ্যতেলের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে সয়াবিন তেলের দাম মণপ্রতি কমেছে ২৫০ টাকা। আর পামওয়েলের দাম কমেছে মণপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতিমণ ৪০ কেজির পরিবর্তে হিসাব করা হয় ৩৭ দশমিক ৩২ কেজি।

খাতুনগঞ্জে তেল ব্যবসায়ীরা বলেন, খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৩০০ টাকায়, আর পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৪০০ টাকায়। পামওয়েল এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কমেছে। আর সয়াবিন তেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ২৫০ টাকা। সামনে তেলের দাম কমার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, সম্ভাবনা আছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমছে। বুকিং রেট কমার কারণেই তেলের দাম কমেছে। বুকিং করা মালগুলো দেশে এলে তেলের দাম আরও কমে আসবে। কারণ এগুলোর ক্রয়মূল্য তো কম হবে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। এখানে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্য বেচাকেনা হয়। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় এখানেও কমেছে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে এখানেও বাড়বে। তবে খুচরা বাজারে এখনও তেলের দাম তেমন কমেনি।

গত একমাস ধরে খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেলের দাম কমছে। পাইকারিতে পামওয়েল মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৩৮০ টাকায়। আর সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৩৫০ টাকায়। সামনে ভোজ্যতেলের দাম কমার সম্ভাবনা আছে। আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে কমে গেলে এখানেও আরো কমবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন