ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইন শক্তিশালীকরণের খসড়া প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে তাতে তামাক-বিরোধী অংশীজনদের দাবি ও পরামর্শগুলো যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার যে ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়নে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই খসড়া সংশোধনীটি চূড়ান্ত করা দরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে এ বিষয়ক জাতীয় সংলাপে মূলনিবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার, এমপি (নওগাঁ-২)।
প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন- বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এস এম জুলফিকার আলী, এবং সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার- মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, তামাকমুক্ত দেশ গঠনের জন্য বর্তমান সরকারের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সংসদ সদস্যরা তাঁদের নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রস্তাবিত আইনটি চূড়ান্তকরণ এবং তার বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন।
ড. আতিউর বলেন, তামাক-বিরাধী সংগঠন ও গবেষকবৃন্দ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলো সামনে এনেছিলেন তার সবগুলোই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণিত খসড়া সংশোধনীতে প্রতিফলিত হয়েছে। এ কারণেই জনসাধারণের মতামতের জন্য খসড়া সংশোধনীটি উন্মুক্ত করার পর এটি ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছে।
তিনি জানান, ১৫৫ জন সংসদ সদস্য, বিএমএ ও সন্ধানীসহ ২০টির বেশি চিকিৎসক সংগঠন, শতাধিক স্বনামধন্য চিকিৎসক, শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও, প্রথিতযশা সাংবাদিক এবং সাংবাদিকদের সংগঠন, ধর্মীয় নেতা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি সংগঠন, রেস্টুরেন্ট ওনার্স এসোসিয়েশন, বিড়ি শ্রমিক, বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বমোট ২০ হাজারের বেশি সংগঠন ও ব্যক্তি ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সংশোধনীটির প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের পক্ষে ব্যাপক জনমত থাকলেও স্বার্থান্বেষি মহল এটি চূড়ান্তকরণের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। তাই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সকল অংশীজনকে সর্বাত্মক সচেষ্ট হতে হবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি