ঢাকা | রবিবার
২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৮ গ্রামের দুঃখ ‘ভাঙা সেতু’

৮ গ্রামের দুঃখ ‘ভাঙা সেতু’

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপাকুড়া গ্রামের দুদুয়ার খালের ব্রীজের রেলিংসহ একাংশ ভেঙে একটি ড্রাম ট্রাক খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার রাতের এই ঘটনায় চালকসহ দুইজন আহত হন। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ৮ গ্রামের হাজারো মানুষ। 

জানা গেছে, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে দেড়যুগ আগে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের রূপাকুড়া গ্রামে দুদুয়ার খালের উপর এ মিনি ব্রীজটি নির্মিত হয়।  কয়েক বছর আগে ভোগাই নদীর পাহাড়ি ঢলে নদীতীর ভেঙে দুদুয়ার খালের সঙ্গে মিশে যায়। ওই সময় ব্রীজের বেশিরভাগ অংশ ধ্বসে পড়ে। প্রায় ৮ বছর আগে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ধ্বসে যাওয়া ব্রীজটি ষ্টীলের স্লাব ও রেলিং সংযোজনের মাধ্যমে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হয়। এদিকে গত রবিবার রাতে চাটকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনের জন্য ড্রাম ট্রাক বোঝাই করে বালু পরিবহন করা হ”িছল। ঝুঁকিপুর্ণ নড়বড়ে ব্রীজটির উপর উঠতেই ভেঙে গিয়ে প্রায় ২০ ফুট নিচে পড়ে যায় ট্রাকটি।

ব্রীজটি ধ্বসে পড়ায় পাশ্ববর্তী পোড়াগাঁও ও নয়াবিল ইউনিয়নের ৮ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। রুপাকুড়া গ্রামের কৃষক আশার চন্দ্র বর্মণ, আমির“ল ইসলাম ও সামিদুল মুন্সি বলেন, এই মিনি ব্রীজ দিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ীসহ প্রায় প্রতিদিন দুই শতাধিক ছোট গাড়ী চলাচল করে। এমনকি কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য এই ব্রীজ পাড়ি দিয়ে পাশের নয়াবিল ও নালিতাবাড়ী উপজেলা শহরে নিয়ে যায়। বর্তমানে ব্রীজটির বেশিরভাগ অংশ ভেঙে যাওয়ায় এলকার সাধারণ মানুষ ও কৃষকরা মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এটি দ্রুত নির্মাণ না করা হলে প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে কৃষকের পণ্য পরিবহন করতে হবে।

নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রথীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বলেন, রূপাকুড়া গ্রামের এই মিনি ব্রীজটি বারোমারী, নয়াবিল ও নালিতাবাড়ী উপজেলা শহরের সেতুবন্ধন ছিল। বালুভর্তি ট্রাক পার হতে গিয়ে ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় আমরা প্রায় ২০ হাজার এলাকাবাসী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। তাই আমরা রূপাকুড়া গ্রামের ব্রীজটি মেরামত নয় নতুন করে নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন