ঢাকা | বুধবার
১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা

চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা

বর্ষার ভরা মৌসুমেও তীব্র তাপদাহের সঙ্গে কয়েকদিনের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে চট্টগ্রাম নগরে বয়ে যাচ্ছে স্বস্তির বৃষ্টি। যদিও বৃষ্টিতে নগরের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি জমে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কর্মস্থলগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও দুদিন এ ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সকাল থেকে নগরীর বাকলিয়া, মুরাপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, চকবাজার, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক, ইপিজেড, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমেছে। এ কারণে সড়কে যানসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা সরোয়ার আলম বলেন, রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এই গরমে বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বাসার সামনের সড়কে দেখি হাঁটু পানি। এই হাঁটুপানি দিয়েই মোটরসাইকেল দিয়ে যাতায়াত করা অনেক কষ্টকর।

নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মাসুদ বলেন, বৃষ্টি হলেই কাতালগঞ্জের সড়কে পানি জমে যাবে। এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে। সকালে বাচ্চাদের স্কুল ছিল। পানি দিয়ে হেঁটেই বাচ্চাদেরকে স্কুলে পৌঁছে দিতে হয়েছে। আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চাই।

এদিকে সকালে বৃষ্টির কারণে নগরীর খুলশী থানার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি) এলাকায় সড়কের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে জিইসি থেকে এ কে খানমুখী সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে সড়কের উপর একটি গাছ উপড়ে পড়ে। এতে যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। ঘণ্টা দুয়েক পর গাছটি কেটে সড়ক থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিক হয়েছে।’

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম জানান, ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বর্ষাকাল ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন