- সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা উপেক্ষিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গত ১৯ জুলাই রাত ৮টার পর ঝালকাঠিতে দোকানপাট, বিপণি-বিতান, মার্কেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে বিকেল থেকে শহরে মাইকিং করে জানানো হয়েছে রাত ৮টার পর সরকারি আদেশ অমান্যকারীদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
তবে, এ শহরে রাতভর বাতি জ্বলছিলো খোদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন ব্যাংকের বিশালাকার নিয়নবাতির সাইনবোর্ড। অনেক সাইনবোর্ডের ভিতরে চারফুট সাইজের (৪০ ওয়ার্ড) ৫০টির অধিক নিয়ন বাতি (টিউবলাইট) বসানো ছিলো। যা রাতভর জ্বলছিলো। অপ্রয়োজনীয় এসব বিদ্যুৎ অপচয়কারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।
রাত ১১টায় শহর ঘুরে দেখা যায়, খোদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বড় সাইনবোর্ডসহ জ্বলতেছিলো বাগান সৌন্দর্যবর্ধনের ২০টির অধিক ঝলমলে রঙিন বাতি।
কামারপট্টি সড়কে মাদকনিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের নিয়ন সাইনবোর্ড। এছাড়া কুমারপট্টি সড়ক, কাপুড়িয়া পট্টি সড়ক, কাশারীপট্টি সড়ক, ডাক্তারপট্টি সড়ক ঘুরে দেখায়ায় সরকারি ও বেসরকারি অনেক ব্যাংকের বিশালাকারের লাইটিং সাইনবোর্ড জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। এভাবে শহরের প্রায় সব এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে। জেলা শহরসহ উপজেলা পর্যায়েও মানা হয়নি সরকারি নির্দেশ।
তবে ছিলোনা কোনো অভিযান বা মনিটরিং। শুধু মাইকে ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। কসমেটিক্স ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা হয় ৭টায় সরকারের ঘোষণা মানতে ৮টার মধ্যেই আমরা দোকানপাঠ বন্ধ করে দিয়েছি। তবে, ব্যাংকগুলো সরকারি ঘোষণা কর্ণপাত করেনি। এদেরকে জরিমানার আওতায় আনা উচিত।
কাপড় ব্যবসায়ী শামীম শরীফ বলেন, করোনাকালীণ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সবসময় বিভিন্নরকম সরকারী বিধি-নিষেধ মানতে গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমাণে আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে। আজকের ঘটনায় ব্যাংকের কর্তারা প্রমাণ করেছে তারা সরকারের উর্ধে।
রাত অধিক হওয়ায় জেলা প্রশাসকসহ ব্যাংকের শাখা ব্যব¯’াপকদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে কথা হয় পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এর ঝালকাঠি শাখা ব্যবস্থাপক পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি এখনই নাইডগার্ডকে ফোন করে বলতেছি সাইনবোর্ডের বাতি বন্ধ করার জন্য।
ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর জানান, জন সম্পৃক্ত এমন নির্দেশনা যারা উপেক্ষা করেছে তারা আইন ভঙ্গ করেছে। জরুরি আইনে তাদের বিচার করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানই যদি সরকারের জরুরি আইন বাস্তবায়নে তৎপর না হয়ে নিজেরাই যদি আইন ভঙ্গ করে তবে সেটা সরকারের নজর দেওয়া উচিৎ।
রাতে একাধিকবার কল করেও ওজোপাডিকো ঝালকাঠির নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মুঠোফোন রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীকে এবিষয়ে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।