ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুঁটকি বেচে জীবিকা

শুঁটকি বেচে জীবিকা

পাকিস্তান আমল থেকে শুটকি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আজগর আলী। একসময় ভালো ব্যবসা করলেও এখন কেজি দরে শুঁটকি-সিদল কিনে এনে ফেরি করে বিক্রি করে সংসার চলে আজগর আলীর

আজগর আলী জানান, পাকিস্তান আমলে আজগর আলীর বড় ভাই আকবর আলীর ছিল শুঁটকির আড়ৎ। দুই ভাই মিলে নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করে শুঁটকি বানিয়ে বিভিন্ন পাইকারের কাছে বিক্রি করতেন। তাদের শুঁটকি ও সিদল পাইকারদের হাত ধরে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও চলে যেত তখন। বৃহত্তর সিলেট বিভাগের মানুষ সিদল শুঁটকির তরকারি খেতে বেশি পছন্দ করায় এ অঞ্চলে রয়েছে শুঁটকির আলাদা কদর। দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীদের জন্য দেশে থাকা স্বজনেরা দেশ থেকে শুঁটকি সিদল পাটিয়ে থাকেন। এছাড়াও প্রবাসীরা দেশে এলে শুঁটকি সিদল সঙ্গে করে নিয়ে যান প্রবাসে। পাকিস্তান আমল থেকে বড় ভাই আকবর আলীর আড়তে শুঁটকি তৈরির কাজ করতেন আজগর আলী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বড় ভাই আকবর আলী মারা যান। বড় ভাই মারা যাবার পর আজগর আলী পড়ে যান বিপাকে। আজগর আলী নিজে শুঁটকি তৈরি করে বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। তবে, পুঁজির অভাবে তেমন একটা জমাতে পারেননি শুঁটকির ব্যবসা। শুটকির ব্যবসা ঠিকমতো না চলায় সংসার চালাতে গিয়ে এক পর্যায়ে সহায়সম্বল বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে পড়েন আজগর আলী। এরপরও ছাড়তে পারেননি স্বজাত ব্যবসা। এখন কেজি দরে শুঁটকি সিদল কিনে এনে ফেরি করে বিক্রি করেন শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে। বুধবার দুপুরে শুটকি নিয়ে বিক্রি করাকালে দেখা হয়, আজগর আলীর সঙ্গে তিনি জানান, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বেড়াখাল এলাকায় করাঙ্গী নদীর খালের পাড়ে কোনো রকম একটি টিনের ঘর তৈরি করে তিন পুত্র, দুই কন্যা স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছেন।

আজগর আলী দুঃখ করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কাছে একটি ঘরের জন্য আবেদন করলেও ঘর জোটেনি তার কপালে। স্থানীয় ৪নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে ভাঙা ঘর মেরামত করতে এক বান টিনের জন্য বার বার গেলেও মেলেনি সরকারি টিন। বর্তমানে কেজি দরে শুটকি সিদল কিনে এনে ফেরি করে বিক্রি করেন শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিন টেংরা, নইন্না, ফেস্সিয়া, লইট্রা ও বাসপাটি মাছের শুটকি সিদল বিক্রি করে ৩/৪শ’ টাকা আয় করেন আজগর আলী। সেই টাকায় চলে তার সংসার

সংবাদটি শেয়ার করুন