ঈদুল আযহার দুইদিন আগে থেকে যশোরের বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে শুরু করে। এরপর এক লাফে দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে মরিচের ঝাঁজে অতিষ্ঠ ক্রেতারা। দাম বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। বাজার ভেদে আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। কয়েকদিন ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় কাঁচা মরিচ। তবে এখন মূল্য খানিক পড়তি।
গত শনি, রবি ও সোমবার সকালে যশোরের বড় বাজার, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও রেল বাজার, চাঁচড়া ও পুলেরহাট বাজার, পালবাড়ী ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ঈদের আগে বেশকিছু দিন কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা জানান, ঈদের আগে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের বেশ ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ঈদের কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহও কম হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি তার। বাজারে এ মুহুর্তে আলোচনার বিষয় কাঁচা মরিচ। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে মরিচ আমদানি করেও বাজার সামাল দেয়া যাচ্ছে না। দাম বাড়ছে হু হু করে। বাজারে প্রতিকেজি মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে এমন দাবি পাইকারি ব্যবসায়ি আবু হানিফের। দুই-তিন দিনের মধ্যে দাম কমতে পারে বলে জানান তিনি।
ক্রেতারা জানান, বাজারে ঝালের কমতি নেই। তবে, অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। কেনা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষার অজুহাতেই মূলত পাইকারি ও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ানো হয়েছে। আমরা কাঁচা মরিচের ঝাঁজে দিশেহারা হয়ে মুড়ি ও সালাদের সঙ্গে মরিচের ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছি। সিঙারা ও পুরির সঙ্গেও হোটেল মালিকরা তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। পান্তাভাতের সঙ্গে আগে খাওয়া হলেও এখন পান্তা ভাত খাওয়া হয় না বলে তার থেকে রক্ষা। ক্রেতারা আরও জানান, কাঁচা ঝালের বিকল্প ঝাঁজ আছে এমন কোনো গাছের পাতার খবর যদি জানা যেত তবে মানুষ ঝাল ছেড়ে তাই খেতো। প্রতিবছর ঝালের ঝাঁজ বেড়ে যাওয়া যেন নিয়মিত হয়ে গেছে।