- চাষে আগ্রহ বাড়ছে
এক সময়ের প্রধান অর্থকারী ফসল পাট চাষে কৃষক দুরাবস্থার সম্মুখীন হলেও চলতি মৌসুমে শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় এবার ২৪০ হেক্টর জমিতে হচ্ছে পাট চাষ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপি সোনালি পাটের গৌরবময় অতীত হারিয়ে গেলেও এ উপজেলায় আবার নতুন করে পাটের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে চলতি মৌসুমে উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। টানা কয়েক বছর ধরে সোনালি আঁশের মূল্য ভালো পাওয়ায় পাট চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে চলতি বছরেও ব্যাপক হারে পাট চাষ করেছেন আত্রাইয়ের কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পাটের বাম্পার ফলন ও ভালো দামের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা।
সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ এখন সবুজের সমারোহ। পাটের সবুজ পাতার সঙ্গে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন।
এ ব্যাপারে উপজেলার সাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজাদ প্রামানিক বলেন, চলতি বছর আমি তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি, এ বছরও পাটের ভালো দামও পাব।
এ ব্যাপারে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের কৃষক সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আশা করছি এবার ফলন ভালোই হবে। তবে পাটের ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।
উপজেলার বিশা ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে পাট চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, ভরা মৌসুমে পাটের বাজার মূল্য কম থাকে। এ সময় ব্যবসায়ীরা কম দামে পাট কিনে মজুত করে রেখে পরবর্তী সময়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে এম কাওছার হোসেন জানান, আত্রাই উপজেলায় এ বছর ২৯৫ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও মাঠ পর্যায়ে প্রায় ২৪০ হেক্টর জমিতে চাষ করেছেন কৃষকরা। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছরও পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।