দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল আর সুঅভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের দীর্ঘ ২৩ বছরের সংসারে যে ঝড় উঠবে তা কেউ ভাবতেই পারেননি। অনেকেই তাদের শোবিজ অঙ্গনে সবচেয়ে সুখি দম্পতি মনে করতেন। তবে সেই আশা ভেঙে গেছে হঠাৎ করেই। যদিও গত পাঁচ বছর ধরে নাকি আলাদা ছিলেন টুটুল তানিয়া দম্পতি। তবে তা কেউই আঁচ করতে পারেননি গত পাঁচ বছরেও। বলা হয়ে থাকে, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ থাকে না। ভক্তদের বিশ্বাস অন্ধ হলেও ভাঙনের প্রলয় বন্ধ থাকেনি টুটুল তানিয়ার সংসারের।
গতকাল সোমবার তাদের সংসার ভাঙার খরব শুধু বোমা ফাটানোই ছিল না, সবাই কেমন স্তব্ধ হয়ে যায়, বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। কারণ একই সঙ্গে দুটো খবর শুনতে হয়েছে ভক্তদের। একদিকে সংসারের ভাঙন আরেকদিকে এসআই টুটুলের দ্বিতীয় বিয়ের খবরও ছিল দিনভর আলোচনার কেন্দ্রে।
খবরে জানা গেছে, গেল বছরই তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে। এরপর টুটুল নতুন করে সংসার পেতেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শারমিনা সিরাজ সোনিয়াকে নিয়ে। তার সঙ্গে বর্তমানে নিউ ইয়র্কে থাকছেন টুটুল।
তবে বিস্ময়ের সীমা শুধু সেই দুটো খবরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। টুটুলের বিয়ের খবরে নিজের শুভেচ্ছাবার্তাও জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রী অভিনেত্রী তানিয়া। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের সমঝোতায় ডিভোর্স হয়েছে। ও ওর লাইফ নিয়ে ভালো থাকুক। তার জন্য আমার শুভকামনা থাকবে সবসময়।
মূলত, অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের সঙ্গে টুটুলের বিচ্ছেদ হয়েছে এক বছর হলো। টুটুল বলেন, আমি তানিয়া সেপারেট ছিলাম ৫ বছর। গত বছর আমাদের অফিসিয়াল ডিভোর্স হয়।
তারা দুজনে বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৯ সালে। এরপর থেকে সুখেই সংসার করে আসছিলেন। তাদের ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তারা হলো অনয়, শ্রেয়াস ও আরশ। আরও দুটি মেয়ে আছে আয়াত ও সামিয়া নামে। এই দুজনকে দত্তক নিয়েছিলেন তারা। সন্তানদের নিয়ে তানিয়া-টুটুলের সুখের অন্ত ছিল না।
তারকা গায়ক অভিনেত্রীর সংসার ভাঙার খবর অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের মনেও ধাক্কা দিয়েছে। ফেসবুকে এক পোস্টে সিদ্দিক লিখেছেন, টুটুল ভাই এবং তানিয়া আপার একটি সন্তানের নাম আরশ, আমার সন্তানের নামও আরশ। কিন্তু আমি কখনও ভাবিনি আরশ নামের সন্তানদের জীবনে একই অবস্থা হবে। সত্যি আমরা মিডিয়ার মানুষরা কী করি, কী করছি, কী করা উচিত এগুলো নিয়ে আরেকটু ভাবতে হবে।
সিদ্দিক আরও লিখেছেন, তানিয়া আপু এবং এস আই টুটুলের বিবাহ-বিচ্ছেদের নিউজটি যখন আমার চোখের সামনে পড়ল, তখন মনে হলো কী হতে চলেছে এসব? আমরা কি একে অপরকে একটু সরি বা থ্যাংকস বলতে পারি না। আমার মনে হয় এই দুটি শব্দের কারণে শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবীর অনেক সন্তানরাই তাদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারে না। সর্বোপরি বলব, তানিয়া আপু এবং টুটুল ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ ৩১ দিন আমেরিকাতে কাটিয়েছি, দেখেছি তাদের মিল। তাদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটবে আমি ভাবতে পারি না।