মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ি চৌরাস্তার হরপাড়ায় জমে উঠছে অস্থায়ী আখের আড়ৎ। এরই মধ্যে এলাকার চাষিরা জমি থেকে আখ তুলে বিক্রির জন্য আনছেন আড়তে। আখের আমদানি বেশী হওয়ায় তুলনামূলকভাবে কম দামে আখ পাওয়া যাচ্ছে। পাইকারিভাবে প্রতি ১শ পিস আখ বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে ৯শ’ টাকা দরে। আড়তদাতরা পাচ্ছেন শতকরা ৫ টাকা করে। এ অঞ্চলের দুই ফসলি জমিতে আলুর সাথি ফসল হিসেবে হাইব্রিড আমৃত ও ২৭ জাতের আখের চাষাবাদ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বীরতারা, আটপাড়া, তন্তর ও কুকুটিয়া এলাকার কিছু কিছু জমিতে দেশী জাতের আখের চাষ করা হয়েছে। কোমর পানিতে নেমে ক্ষেত থেকে আখ তোলা হচ্ছে। ২৫টি করে আখে আটি বাঁধা হচ্ছে। এসব আখের আটি ভ্যান, ট্রলি, কিংবা পিকআপে ভরে পাঠানো হচ্ছে ছনবাড়ি চৌরাস্তা সংলগ্ন আখের আড়তে। এছাড়াও আখ মৌসুমে এলাকার অনেকেই আছেন কয়েক মাসের জন্য আখের ব্যবসা করছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার কিংবা পাড়ায় মহল্লায় ফেরি করে খুচরাভাবে আখ বিক্রি করে আয় করছেন। খুচরাভাবে প্রতি পিস আখ বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। মানবদেহের জন্য উপকারি সু-স্বাদু রসালো মিষ্টি মৌসুমী আখ কিনতে ক্রেতার ভিড় করছেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্রীনগরে প্রায় ৪শ’ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আখের চাষ করা হয়েছে। এ অঞ্চলে আখচাষে সরকারিভাবে কোনো প্রণোদনা আসেনি। স্থানীয় কৃষকরা বিশেষ করে আলুর সাথি ফসল হিসেবে জমিতে আখের চাষ করে থাকেন।
আখচাষিরা জানান, আলুর জমিতে সাথি ফসল হিসেবে আখের আবাদ করছেন। এ বছর আলু চাষে লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে। এখন আখে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাস পর্যন্ত ক্ষেতের আখ বিক্রি করবেন।
আড়ৎদার আওলাদ হোসেন শেখ, আজিজুল শেখ, কালম বেপারী বলেন, বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন শ্রীনগর ছনবাড়ি চৌরাস্তায় প্রতি বছরের মত এবারও অস্থায়ী আখের আড়ত জমে উঠছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে আখ আসছে। স্থানীয় চাষিরা তাদের উৎপাদিত আখ এখানে বিক্রি করে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারছেন। আড়তে ভালোমানের আখের খোঁজে বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা ও পাইকাররা আসছেন। ভরা মৌসুমে সকাল-সন্ধ্যা এখানে তুলনামূলক স্বস্তায় বিভিন্ন জাতের আখ বিকিকিনি হচ্ছে।