ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানবন্দরকর্মীর বাড়ি থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট

বিমানবন্দরকর্মীর বাড়ি থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিমানবন্দরে কর্মরত রুহুল আমিন সরকারের বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতেরা নগদ টাকাসহ ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং মূল্যবান মালামল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের হামলায় গৃহকর্তার স্ত্রী ও বড় মেয়ে জামাতা আহত হয়। গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের কেটুন গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

রুহুল আমিন সরকার কেটুন গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া সরকারের ছেলে এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চাকরি করেন। ঘটনার সময় গৃহকর্তা বাড়িতে ছিলেন না। তার স্ত্রী জেবুন্নাহার ডলি (৪৫), বড় মেয়ে রিতু সরকার (২৪), তার স্বামী অনিক (২৮) এবং কলেজ পড়ুয়া মেয়ে নওরিন সরকার (১৮) বাড়িতে ছিলেন।

নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য বিকাশ চন্দ্র দত্ত ও জানান, রুহুল আমিন সরকারের দোতলা বাড়িতে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে বাড়ির দক্ষিণ পাশের বারান্দার গ্রীল কেটে ডাকাতেরা ঘরে প্রেিবশ করে। মুখোশপরিহিত ৮/১০ জনের হাফপ্যান্ট পরিহিত ডাকাতদল রুহুল আমিন সরকারের স্ত্রী ঘুমিয়ে থাকা জেবুন্নাহার ডলির কক্ষে প্রবেশ করে তার তার হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। গাড়ি কেনার জন্য ব্যাংক থেকে উঠানো টাকা তার স্বামী কোথায় রেখেছে তা  ডাকাতেরা জানতে চায়। বাড়িতে কোন টাকা নেই বললে ডাকাতেরা তাকে মারধর করে। পরে তার ছোট মেয়ে নওরিন সরকারের কক্ষে প্রবেশ করে ডাকাতেরা টাকা খোঁজতে থাকে। টাকা না পেয়ে নওরিন ও তার মা’র হাত-মুখ বেঁধে দু’জনকে একসাথে নিয়ে নিচতলায় থাকা বড় মেয়ে রিতু সরকার ও তার স্বামী অনিককে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তাদের কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় মেয়ে জামাই অনিক ডাকাতদের বাধা দিলে ডাকাতেরা তাকে মারধর করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ডাকাতেরা ব্যাংক থেকে উঠানো টাকা না পেয়ে ঘরে থাকা ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পর তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়। ডাকাতদের হামলায় আহত রুহুল আমিন সরকারের স্ত্রী জেবুন্নাহার ডলি (৪৫)এবং তার বড় জামাতা অনিক (২৮) বসুন্ধরা অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  

কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রেজা আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ভোর রাত সোয়া ৫টায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ান (র‌্যাব) সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কালীগঞ্জ থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হোসাইন জানান, ওসি স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতির শিকার পরিবারের লোকজন এখনো কোনো আভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন