ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যার্তদের ঘুরে দাঁড়াতে ঋণ

বন্যার্তদের ঘুরে দাঁড়াতে ঋণ

বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

  • উপকৃত হবে ১৪ উপজেলার সাড়ে ১২ লাখ মানুষ

বন্যার ক্ষতি কাটাতে বাংলাদেশকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল শনিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্যা মোকাবিলা ও পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি থেকে কাটিয়ে উঠতে ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ৯০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ঋণে ১৪ টি উপজেলার ১ দশমিক ২৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা সংস্থাটির।

বন্যাপ্রবণ জেলায় অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নতিতেও এ ঋণ সহায়ক হবে। ঋণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা বন্যা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এটা হয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় বন্যাপ্রবণ এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নতি করতে সাহায্য করবে প্রকল্পটি।

বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সম্প্রতি সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। সুরমা, কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে সিলেটের ৬টি ও সুনামগঞ্জের ৬টি মোট ১২টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। এতে করে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় ওই অঞ্চলের মানুষ।

বিশ্বব্যাংক জানায়, রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার অব অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৫০০টির বেশি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, অ্যাকসেস রাস্তা এবং জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে, যা আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

স্বাভাবিক সময়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে কাজ করবে। এসব অবকাঠামোতে সৌরশক্তি ব্যবস্থা, পানি, স্যানিটেশনসহ নানা স্বাস্থ্য সুবিধা থাকবে। নারী ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রকল্পটি বন্যার প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া এবং আচরণগত পরিবর্তনে হস্তক্ষেপ গ্রহণে সরকারি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা জোরদার করতে সহায়তা করবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন