ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরিষাবাড়ীর অনেক গ্রামের ঈদ উদযাপন

প্রতিবারের ন্যায় জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ১৫-১৬টি গ্রামের আংশিক মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে অগ্রীম ঈদ উদযাপন করেছেন।

শনিবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টায় সরিষাবাড়ী পৌরসভার বলারদিয়ার মধ্যপাড়া মাষ্টার বাড়ী সংলগ্ন জামে মসজিদ মাঠে এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলারদিয়ার, মূলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুঠিয়ারপাড় ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ এ নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

এলাকাবাসী জানান, পৌরসভার বলারদিয়ার এলাকার আজিম উদ্দিন মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে প্রতি বছরই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ১৫-১৬টি গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার ঈদ উদযাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বলারদিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা
আজিম উদ্দিন ঈদুল আজহা নামাজে ইমামতি করেন।

ঈদের নামায পড়তে আসা ফজলু মিয়া নামে এক মুসলিম বলেন, ১৯৮৬ সালে সৌদি আরবের কায়রোতে প্রায় সকল মুসলিম দেশের ওলামা আলেমগণ একত্রিত হয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছিলেন—যে দেশেই আগে ঈদের চাঁদ দেখা যাক না কেনো, তারা সৌদি আরবকে অবগত করবে। তারপর সকল মুসলিম দেশেই একযোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মূলত তখন থেকেই আমরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছি।

সাতপোয়া চাইন্দার মোড় এলাকার ইউসুফ নামে এক দোকানি বলেন, তিনি ২০-২৫ বছর হলো এ মোড়ে দোকান করছেন। সে সুবাদে ১০ থেকে ১২ বছর হলো তাদেরকে দেখে আসছেন সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করতে। সালাত আদায় করতে আসা হারুন অর রশিদ নামে আরো এক মুসুল্লি বলেন, আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০০৬ সাল থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি গ্রামের আংশিক লোকজন ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার উদযাপন করে আসছে।

আজিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, কোরআন হাদীসের সঠিক নির্দেশনা মোতাবেক সালাত আদায় করা হয় এবং সাথে কোরবানিও করা হয়। তবে যারা পরেরদিন সালাত আদায় করছেন তারা সঠিক কি’না সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।

উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন জুবায়ের হোসেন বলেন, যারা সৌদি আরবের সাথে আজকে নামাজ আদায় করেছে তারা কোন মাজহাব মানে, কোন মাজহাব জানে এটা কেবল তারাই জানে। ওরা এগুলো কোথায় পেলো তা আমরা জানি না, এটা একঘেয়েমি ছাড়া আর কিছুই না।

সরিষাবাড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সে জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও. মুহা. নাজমুল হুদা ফয়জী বলেন, যারা কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস মানে না তারাই এ সমস্ত বিভ্রান্তিকর কাজ করে চলেছেন।

আআনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন