পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেন্দুয়া উপজেলায় কোরবানির পশুরহাট জমে উঠেছে। তবে বাজারে ক্রেতা কম। এখনও পুরোপুরিভাবে শুরু হয়নি বেচাকেনা। গরু ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রত্যাশা শেষ সময়ে অবশ্যই ভালো বেচাকেনা হবে এবং আশানুরূপ মূল্যে তারা তাদের পশুটি বিক্রি করতে পারবেন।
উপজেলার সেনেরবাজার, চিরাং বাজার,মাসকা বাজার ও সাহিতপুর বাজারে পশুর হাটসহ কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত গরু ও ছাগল হাটে এসেছে। তবে সবই স্থানীয় গরু-ছাগল। বাইরে থেকে কোনো পশু এ বছর হাটে আসেনি। হাটগুলো গরু-ছাগলে জমজমাট হয়ে উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। ক্রেতাদের বেশিরভাগই কোনো পশু ক্রয় করছেন না। তারা বাজার ঘুরে গরু পছন্দ করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পৌরসভার হ্যালিপেড বাজার পশুরহাটে কথা হয় ক্রেতা মো. মফিজ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, বন্যার কারণে মানুষ পশু নিয়ে বিপদে পড়ায় বাজারে কোরবানি পশু উঠেছে চোখে পড়ার মত। কিন্তু সে অনুযায়ী ক্রেতার সংখ্যা কম। বিধায় বেচাকেনাও কম।
বিক্রেতা আব্দুল কাদির বলেন, বন্যার কারণে অন্য এলাকা থেকে কোনো গরু না আসায় স্থানীয় গরুতেই বাজার ভরে গেছে। ক্রেতারা দাম কম বলায় কেনাবেচা কম হচ্ছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন পিপিএম জানান, ঈদ উপলক্ষে কোরবানির পশুরহাটের নিরাপত্তাসহ উপজেলাবাসীর সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ৫টি মোবাইল টিম কাজ করছে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম জানান, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলে মোট ২৬টি কোরবানির পশুরহাট বসেছে। এরমধ্যে স্থায়ী পশুরহাট রয়েছে ১৩টি।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রতিটি পশুরহাটেই প্রাণিসম্পদ কার্যালয় কর্তৃক একটি করে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে উপজেলাবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।