ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুতে ছুটছে ঘাম

বিদ্যুতে ছুটছে ঘাম
  • ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোড শেডিং

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর অধীনে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৬টি ইউপি ও একটি পৌরসভা ১ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গত রবিবার রাত থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলা ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং দেখা যায়। এতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাঘাত ঘটে। পাশাপাশি ঠিক মতোন ঘুমাতে পারছেন না শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষ। রাতের বেলা বাহিরে ঘুরাঘুরি কিংবা ঘরের মেঝেতে শুয়ে ঘুমাতে হয় তাদের।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ নাঙ্গলকোট অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২ টি উপকেন্দ্র রয়েছে। ঢালুয়া উপকেন্দ্রের অধীনে ৯ টি পিডারের মাধ্যমে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। যা বর্তমানে পাচ্ছেন ৬ মেগাওয়াট। অপরদিকে বাংগড্ডা উপকেন্দ্রের ৫টি পিডারের মাধ্যমে ৮ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়ে থাকে। সেখানেও দেয়া হচ্ছে ৩ মেগাওয়াট। এতে করে উপজেলার প্রতি গ্রামে ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকায় জনজীব অতিষ্ঠ হয়। অন্যদিক নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। আর ঢালুয়া উপকেন্দ্র থেকে নাঙ্গলকোট পৌরসভা দেড় মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। যার চাহিদা নিরবিচ্ছিন্ন থাকে।

এ বিষয় মৌকরা ইউপির ভুক্তভোগী গোমকোট গ্রামের সোহাগ বলেন, বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার খবর থাকে না। বাচ্চাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। রাতে ঘুমাতে পারি না। ফ্রিজে থাকা সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

রায়কোট উত্তর ইউপির কুকিরখিল গ্রামের আব্দুল হান্নান মজুমদার বলেন, তিনি একটি গরুর খামার করেছেন। এখন কোরবানি সময়, গরু বেছা কিনি করবো। গত দু’দিন ধরে ঘন্টায় ঘন্টায় এলকায় বিদ্যুৎ থাকেন। গরুগুলো নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর সহকারী মহাব্যাবস্থাফক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। সারাদেশে এ সমস্যা। ঈদের ছুটি কল কারখানাগুলো বন্ধ থাকলে বিদ্যুতের এ সমস্যা কমবে। চাহিদা অনুযায়ী নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। তাই লোডশেডিং হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন