মাঝখানে আর মাত্র দুদিন। আগামী রবিবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। এর মধ্যেই সারাদেশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। বন্যা দুর্গত এলাকা ছাড়া অন্যান্য সব এলাকায় বেচাবিক্রিও শুরু হয়েছে সারাদেশে। তবে রাজধানীর হাটগুলোতে এখনও বেচাকেনা জমে উঠেনি। এমনটাই দেখা গেছে গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন পশুহাটে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুরহাট গাবতলীতে ক্রেতা ও বেপারীরা জানিয়েছেন, হাটে গরু আসতে শুরু করেছে, ক্রেতারাও আসছেন। চাহিদাও বেশি। তবে জমে ওঠেনি কেনাকাটা। তারা বলছেন, বড় আকারের দামি গরুর বিক্রির হার কম।
এবার রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়েছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বসেছে ১০টি অস্থায়ী হাট। তবে এসবের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়ালি বেচাকেনা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। ডিজিটাল হাটের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
গাবতলীর পশুর হাটের কয়েকজন বেপারী বলেন, গরু যতগুলো আনছি, তার তিন ভাগের এক মাত্র বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা আসেন, তবে দাম কম হাঁকছেন। যার কারণে বিক্রি করতে পারছি না। অথচ হাটে আনা গরু বিক্রি করতে পারলে আরও বেশি গরু আনা যেত। অথচ হাতে সময়ও নেই।
অন্যদিকে রাজধানীর ক্রেতাদের অভিযোগ, হাটে গরু কিনতে এসে দাম বেশি দেখে তারা ফেরত যাচ্ছেন। ভাবছেন দাম আরও কমলে কিনবেন। অনেকে আবার পশু কোরবানির জন্য বাজেট খাটো করেছেন। যে কারণে কিছুটা কমে গরু কেনার চেষ্টা করছেন। এসব কারণে ক্রেতা বেশি থাকলেও গরু বিক্রি কম হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ব্যাপারীরা। তারা যে টার্গেট নিয়ে জেলা থেকে গরু রাজধানীর হাটে এনেছেন সেই টার্গেট পূরণ হচ্ছে না। আরও সংকট হয়েছে তারা যেসব পশুর অর্ডার করেছেন, সেসব পশুও রাজধানীতে আনতে ভয় পাচ্ছেন। শেষ অবধি লোকসান গুনতে হয় কিনা।
গাবতলীসহ রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে বেপারীদের মন খারাপ দেখা গেছে। তারা আগামী দুদিনে টার্গেট পূরণ হবে এমন আশা নিয়ে বসে আছেন।
আনন্দবাজার/শহক