- বেশিরভাগ খরচই নিয়োগকর্তার
- প্রক্রিয়া চূড়ান্তে আলোচনা ১৩ জুলাই
মালয়েশিয়ায় যেতে প্রতিটি কর্মীর বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা ব্যয় হবে। গত ১৯ ডিসেম্বর করা মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কর্মীর বেশিরভাগ খরচই নিয়োগকর্তা বহন করবেন। তবে বাংলাদেশে কর্মীর কিছু খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। সেটি নির্ধারণ করে দিলো মন্ত্রণালয়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তাই বহন করবেন। এসব খরচের মধ্যে রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় আনয়ন, আবাসন, কর্মে নিয়োগ ও কর্মীর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
গতকাল বুধবার বিকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক আগে থেকে চেষ্টা করছি। কিছু বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। সে কারণেই বিলম্ব হয়েছে। যে কারণে কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শ্রমবাজার চালু করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে শুরু করছি। আমরা সব মিলিয়ে একটি খরচ নির্ধারণ করেছি। মালয়েশিয়ায় যেতে একজন শ্রমিকের বাংলাদেশ অংশে খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। এই রেটের ভেতরে থাকার জন্য আমি সবাইকে অনুরোধ করবো। কারণ এর ওপরে চিন্তা করলে নিজেরই ক্ষতি হবে।
এছাড়া নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ইন্সুরেন্স, করোনা পরীক্ষা, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা প্রতিষ্ঠান বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসাও নিশ্চিত করবেন।
মন্ত্রী আরও জানান, আগামী ১৩ জুলাই বৈঠকে কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে চূড়ান্ত আলাপ হবে। চুক্তিতে আরও আছে, কর্মীর পাসপোর্ট নিয়োগকর্তা নিজের হেফাজতে রাখতে পারবেন না। চুক্তি অনুযায়ী সিকিউরিটি ডিপোজিট, প্রসেসিং ফি, ভিজিট পাস, ইনস্যুরেন্স, মালয়েশিয়ায় মেডিক্যাল চেকআপ ফি, ইমিগ্রেশন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স, বায়োমেডিক্যাল, ভিসা প্রসেসিং, ভিসা, উড়োজাহাজের টিকিট, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সত্যায়িতকরণ, মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ এবং করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নিয়োগকর্তা করবেন। তবে বাংলাদেশে যদি কোনও রিক্রুটমেন্ট খরচ থাকে সেটা কর্মীকে বহন করতে হবে।