ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চর দখলে বাণিজ্য

চর দখলে বাণিজ্য
  • দিশেহারা হতদরিদ্ররা

বিশাল নদীর বুকে হঠাৎ জেগে ওঠা চরে আশান্বিত হয় ভূমিহীন, অসহায় হতদরিদ্র মানুষেরা। নতুন চরে হয়তো মিলতে পারে বেঁচে থাকার জন্য একখন্ড জমি ও মৎস আহরণ করে জীবিকা নির্বাহের একটা সুগম পথের দিশা। তবে, সে আশায় বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বিত্তশালী কিছু লোভী মানুষ। এমনই অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের জিনতলায় বসবাসরত আনিস হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে। বুড়াগেীরাঙ্গ নদীর বুকে পাঙ্গাশিয়া চর ও মাইয়ার চরের মাঝখানে জেগে ওঠা একটি নতুন চরে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে চালাচ্ছেন তারা দখল বাণিজ্য।

চরকাজল ইউনিয়নে বসবাসরত ভূমিহীন ও হতদরিদ্র মাহবুব হাওলাদার, ইনছান খাঁ, এলাহি ডাক্তার, ছালাম বিশ^াস, আমিনুর ডাক্তার, ছালাম মোল্লা, কামাল খাঁ, রাজিব খাঁ, ছত্তার হাওলাদার এবং কালাম হাওলাদার জানান, নতুন চর জেগে ওঠার পর থেকে আনিস হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী জোরপূর্বক চাষাবাদ ও মাছ ধরার জন্য জেলেদের নিকট চরের জায়গা বিক্রয় করে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছেন। চলতি বছর তরমুজ চাষের জন্য কয়েক লাখ টাকা, মাছ ধরার জন্য মৎস্য ব্যবসায়ী জাফর হাওলদার, জলিল শিকদার ও বেরজাল ব্যবসায়ী লাল মিয়া শিকদার এর নিকট বিক্রয়বাবদ দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেওয়া হয় বলে তারা জানান। অথচ ভূমিহীন ও হতদরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও সে চরে চাষাবাদসহ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন না তাদের বাঁধার কারণে। তাই তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

জিনতলায় বসবাসরত চর ক্রয়কারি বেরজাল ব্যাবসায়ী লাল মিয়া শিকদার জানান, উক্ত চর তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী জাফর হাওলাদার ও জলিল শিকদার এর নিকট থেকে মাছ ধরার জন্য দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকায় কিনেছেন। তিনি জানতে পেরেছেন আনিস হাওলাদারসহ আরও একজনের কাছ থেকে জাফর হাওলাদার ও জলিল শিকদার চরের জায়গা কিনেছেন। চরের ভিতরে ছোট ছোট সোতা খালে মাছ আটকানোর জন্য চৌদ্দটি বাঁধ দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে আনিস হাওলাদার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জমি আমরাইতো বিক্রয় করবো। আমার কাছে কাগজ পত্র আছে। চাইলে আপনারা দেখতে পারেন।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভূমি (ভারপ্রাপ্ত) আশিষ কুমার বলেন, সরকার দেশের সকল চরের ইজারা বন্ধ রেখেছেন। ব্যক্তি পর্যায় কোনো চর দখল ও ইজারা দেয়ার এখতিয়ার নেই। বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন