কক্সবাজার সদরের খুরুশকূলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের উপস্থিতি ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন জানান, রোববার রাত ও সোমবার দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতারকে করা হয়। তবে গ্রেপ্তারদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
রবিবার বিকেলে খুরুশকূল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন দেখতে যান সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়সাল উদ্দিন। সন্ধ্যায় সম্মেলন শেষে অটোরিক্সাযোগে বাড়ি ফেরার পথে খুরুশকূল ইউনিয়নের ডেইলপাড়ায় পৌছালে, একদল দুর্বৃত্ত অটোরিক্সা থামিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় স্বজন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ; ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থলের বাইরে একদল সশস্ত্র লোকজনকে দেখতে পেয়ে হামলার আশঙ্কা করেছিলো ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিন। পরে আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ তাকে একটি অটোরিক্সায় তুলে দিয়ে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেন। অটোরিক্সাটির পেছনে পুলিশের গাড়িও ছিলো। এক পর্যায়ে ফয়সালকে বহনকারি গাড়িটি ডেইলপাড়ায় পৌছালে একদল দুর্বৃর্ত্ত গাড়িটি থামিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে রোববার রাত থেকেই অভিযান শুরু হয়। এতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত খুরুশকূল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নারীসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহ হওয়ায় ৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সেলিম উদ্দিন আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে সোমবার বেলা ১২টায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত স্বজনদের কাছ থেকে কোনো এজাহার পাওয়া যায়নি। এজাহার পেলে গ্রেফতারদের মামলায় আসামী দেখানো হবে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে এখনও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।