ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চসিক কাউন্সিলর পত্নী পলাতক, পুত্র গ্রেপ্তার

চসিক কাউন্সিলর পত্নী পলাতক, পুত্র গ্রেপ্তার

চসিক কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌসের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় তার স্বামী নওশাদ আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাউন্সিলরের পত্নী পলি বেগমকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে ভুক্তভোগী রেহনুমার পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর পুত্রকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি জানান, ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলরে নুরুল আমিনের ছেলে নওশাদ আমিনের বাসা থেকে তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কাউন্সিলরের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন রেহনুমা আত্মহত্যা করেছেন। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন নওশাদুলের পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্ত শেষে বাবার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে জানাজায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছিলেন না বলে জানিয়েছেন রেহনুমার স্বজনরা।

তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে রেহনুমা ফেরদৌসের বাবা তারেক ইমতিয়াজ বাদি হয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্র নওশাদ আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া রেহনুমার শাশুড়ি বর্তমানে পলাতক আছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে রেহনুমার সঙ্গে নওশাদ আমিনের বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়মিত নির্যাতন করতো। দেড় মাস আগেও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বাসায় দুই দফা সালিশ বৈঠক হয়েছিল। এরপরও তারা থামেনি। তাদের নির্মম নির্যাতনে রেহনুমা মারা গেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে বলে অভিযোগ করছে রেহনুমার পরিবার।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১০টায় শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষ থেকে রেহনুমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে রেহনুমার স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন