ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দু’পাশে কংকালের মতো ঝুঁকিতে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির কিছু মরা গাছ। যে কোনো মুহুর্তে এসব মরা গাছ বা ডালপালা ভেঙ্গে পড়তে পারে মহাসড়কে চলমান যানবাহনসহ সাধারণ পথচারীদের ওপর। এতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটাসহ যানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর অংশের উপজেলা চত্তর, কালিয়াকৈর থানা ও বঙ্গবন্ধু হাইকেট সিটির প্রধান ফটকের সামনে বিশাল আকৃতির কয়েকটি মরা গাছ কোনো রকমে ঠায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ কারণে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, উপজেলা চত্বর, কালিয়াকৈর পৌরসভা, কালিয়াকৈর থানা ও লতিফপুর জোড়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার মহাসড়ক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দীর্ঘদিনের পুরোনো গাছ হওয়ায় ধীরে ধীরে এ গাছগুলো মরে গেছে। একটু ঝড়ো বাতাসেই যে কোনো মুহুর্তে এ মরা গাছগুলো ভেঙ্গে পড়তে পারে আবার বেশ কিছু গাছের বিশাল আকৃতির ডালপালা মরে ঠায় সোজা হয়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের দু’পাশে এমন বিশাল আকৃতির গাছ মরে শুকিয়ে গেলেও তা অপসারণ না করায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মধ্যেই মহসড়কের উপর এসব মরা গাছের ছোট-বড় ডালপালা ভেঙ্গে পড়ছে। কখনো কখনো এসব মরা ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারী আহত হয়েছে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যানবাহনেরও। ওই গাছগুলো মরে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, থানা, পৌরসভা ও বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়েই যাতায়াত করছেন হাজার হাজার মানুষ। অতি দ্রুত উপজেলা চত্বর, থানা ও হাইটেক সিটির প্রধান ফটকের সামনের মহাসড়কের এসব গাছ অপসারণ না করলে যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাসহ যান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এসব মরা গাছ ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনাও। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এসব মরা গাছ কাটার আবেদন করেছেন স্থানীয় লোকজন।
লতিফপুর এলাকার বসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, মাঝে মধ্যে আমাদের দোকানের ওপর মরা গাছের ডাল পড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই গাছ না কাটলে আবারও দোকানের ওপর পড়বে। অনেক সময় মরা ডাল ভেঙ্গে পড়ে পথচারী হয়েছেন। আবার অনেক সময় মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের উপরেও পড়ছে। তাই মরা গাছগুলো কাটার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।
শাজাহান মিয়া, হাছেন আলী, আব্দুল জলিল, ইমরান হোসেন, শামসুল হক, আব্দুল মালেকসহ অনেকেই মরা গাছ কাটার দাবী জানিয়ে বলেন, অতি দ্রুত মরা গাছগুলো কাটা না হলে যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিয়মের বাইরে গাছগুলো কাটা যাবে না। তবে ওই মরা গাছগুলোর বিষয়ে উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে চন্দ্রা বনবিট কর্মকর্তা শরিফ খান চৌধুরী জানান, ওই গাছগুলো যাদের আওতায় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবগত করলে তিনি আমাদের চিঠি দিবেন। পরে আমরা মাফ-জোক করে দিবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, পুরোনো এসব মরা গাছের বিষয়ে স্থানীয় বন বিভাগের সাথে কথা বলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।