- গ্যাস অনুসন্ধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের
বাগেরহাটের মোংলায় মৎস্য ঘের থেকে গ্যাস উদগীরণ হচ্ছে। ঘের থেকে বালু উত্তোলনের সময় এ গ্যাস বের হতে থাকে। বালু ও পানির সাথে গ্যাস মিশে প্রায় ১৫০ ফুট উপরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই গ্যাস ওঠার বিষয়টি বুঝতে পারেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। গ্যাস বের হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা একনজর দেখার জন্য ভীড় জমান। বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকায় মোঃ দেলোয়ার হোসেনের মৎস্য ঘেরে বালু উত্তোলনের সময় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শত শত উৎসুক জনতা ভীড় জমতে থাকে দেলোয়ারের বাড়িতে।
গ্যাস দেখতে আসা দক্ষিণ চাঁদপাই এর উজ্জল মল্লিক বলেন, শুনলাম এ এলাকার একটি মৎস্য ঘের থেকে গ্যাস উঠতেছে, তাই শুনে পরিবার নিয়ে দেখতে আসলাম। এসে দেখি গ্যাস দিয়ে তারা রান্না বান্না করতেছে।
জমির মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৩ বিঘা জমিতে বালি কাটার জন্য মৎস্য ঘেরে পাইপ বসানোর সময় হঠাৎ পাইপ দিয়ে গ্যাস ওঠা শুরু হয়। এসময় দেখতে পাই পাইপ বসানোর সময় হঠাৎ ৫০ ফুট উচ্চতায় গ্যাস, বালু ও পানি উপরের দিকে উঠতে থাকে। ৫-৬ বছর আগেও একবার এ ঘের থেকে বালু তোলার জন্য ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছিল। তখনও বালুর সাথে গ্যাস উদগীরণ হওয়ায় বালু উঠানোর কাজ বন্ধ করে দেই আমরা। এখন দেখি সেখান থেকে আবারও গ্যাস উঠতেছে।
দেলোয়ারের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন মিম বলেন, এ ঘেরে বালি চেক করার জন্য পাইপ লাগাইছিলো। তবে, সেখান থেকে এখন গ্যাস উঠতেছে। ওই গ্যাসের পাইপের সাথে লাইন দিয়েছি আমরা। এখন এই গ্যাস দিয়ে রান্না বান্নার কাজ করতেছি।
স্থানিয় ইউপি সদস্য উকিল উদ্দিন ইজারাদার বলেন, প্রায় ৫-৬ বছর আগে এখান থেকে এ গ্যাস উঠেছিল। তবে, কেউ কখনো মুল্যায়ন করেনি। কি পরিমান গ্যাস আছে তা আমরা বলতে পারছিনা। দ্রুত সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থ পরিদর্শন করে, পরবর্তি করনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
