প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য পাঁচ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। পাঁচ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে এসব টাকা। সে হিসাবে ১০ হাজার টাকা করে পাচ্ছে প্রতি পরিবার।
আজ রবিবার বন্যা পরিস্থিতি, বন্যাত্তোর পুনর্বাসন ও ত্রাণ বিতরণ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সিলেটে পাঁচ কোটি টাকার অনুদানের চেক হাতে এসেছে। এ টাকা থেকেই প্রথম ধাপে সোমবার থেকে জেলার ১৩টি উপজেলার পাঁচ হাজার পরিবারকে সহায়তা করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও সহায়তা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জানান, ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের ৬৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৩০ হাজার ৬৩২ জন মানুষ আশ্রয় নেন। সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত ৪১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৬৮৫ জন অবস্থান করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে ৩১ হাজার ৯৭টি গবাদি পশু নিয়ে এসেছিলেন বন্যার্তরা। বর্তমানে ৫৩০টি গবাদি পশু রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন বন্যার্তরা।
ডিসি মজিবর রহমান জানান, বন্যার শুরু থেকেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত জেলার ১৩ উপজেলায় ১৬১২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া এক কোটি ৯২ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৬৫ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ১০ লাখ টাকা, গো-খাদ্য ১০ লাখ টাকা ও ২০ হাজার ২১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বেসরকারিভাবে পাওয়া ত্রাণও বিতরণ করছে জেলা প্রশাসন। এ পর্যন্ত বেসরকারিভাবে পাওয়া ২২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, ৫১ হাজার ৮২৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২২ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ১৩ টন চাল, ১০ হাজার খাবার স্যালাইন, ১২০০ মোমবাতি, ১০০ গ্যাসলাইট ও ৬০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি