রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নম্রতার স্বপ্ন রঙ-তুলি

নম্রতার স্বপ্ন রঙ-তুলি
  • তুলির আঁচড়ে রঙিন দুনিয়া

মানুষের পরিচয়ের একমাত্র পথ কাজ। এ কাজের মধ্যে দিয়েই মানুষ নিজের পরিচিতি লাভ করে। নিজের জগৎএ উজ্জ্বল হতে থাকে। আর সেই কাজের সঙ্গে যদি ভালোবাসা মিশ্রণ থাকে তাহলে সফলতা খুব সহজেই হাতের মুঠোয় ধরা দেয়। নম্রতা জয়সোয়ালও এমন একজন। রঙ ও তুলির সঙ্গে ভালোবাসাটা ছোট থেকেই। তার সেই ভালোলাগা ও ভালোবাসার রঙিন ছোঁয়ায় তৈরি করা বিভিন্ন শো-পিস তাকে দিতে শুরু করেছে আলাদা পরিচয়। 

ছবি আঁকার প্রতি অন্যরকম এক ভালোবাসা কাজ করে নম্রতার মাঝে। ছবি আঁকা তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। যেখানেই সুযোগ পেতো আঁকাআঁকি শুরু হয়ে যেত নম্রতার। স্বপ্ন দ্যাখেন রঙ তুলির আঁচড় দিয়ে দুনিয়াটাকে রঙিন করে তোলার। সেই আঁকাআঁকির প্রতি ভালোবাসা থেকেই নম্রতা ধিরে ধিরে হয়ে উঠছে উদ্যোক্তা।

রাজশাহী মহানগরীর মেয়ে নম্রতা জয়সোয়াল। বাড়ি সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে। তিনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ব্যবসায়ী বাবা জহরলাল জয়সোয়াল ও গৃহিণী মা পুতুল জয়সোয়াল। মেয়ের ভালোলাগার এক কাজে কখনো বাধা দেননি। বিভিন্ন কাঁচের বোতল, জার, প্লেটে নানান রকম নকশা দিয়ে তৈরি করছে ঘর সাজানোর বিভিন্ন শো-পিস। আর তার এই সৃষ্টিকর্মের নাম দিয়েছেন ‘ক্রাফটেড এরিয়া’। তার এই কাজের সুবাদে অনেকের সাথে পরিচয়। নম্রতা স্বপ্ন দ্যাখেন, একদিন তার এ কাজ অনেক বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে। 

নম্রতা জয়সোয়াল বলেন, ভালো লাগা থেকেই কিছু কাঁচের কাপ কিনে সেগুলোতে হ্যান্ডপ্রিন্টের কাজ করি। জিনিসগুলোতে ক্যান্ডেল সেট করে নাম দেই ক্যান্ডেল হোল্ডার।  সেগুলো আমার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করি। তারপর দেখি ক্যান্ডেল হোল্ডারগুলো অনেকে ক্রয় করতে চায়। তাই পরবর্তীতে ২০২০ সালের দিকে আমি আমার হাত খরচের টাকা থেকে ১ হাজার টাকার জিনিস কিনে সেগুলোতে কাজ করি এবং সবগুলো ক্রাফড বিক্রি হয়ে যায়। আমার প্রথম আয় হয় ১৫০ টাকা। 

আরও পড়ুনঃ  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইউডার সমঝোতা চুক্তি

নম্রতা জয়সোয়াল আরো বলেন, আমি খুবই আনন্দিত হয় এবং আমার কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। তাই একটা  ফেসবুক পেজ খুলি, নাম দিই ‘ক্রাফটেড এরিয়া’। সেই পেজ থেকে প্রচুর অর্ডার আসে। আমি আমার পেজের প্রমোট নিজে কখনো করিনি। তবে ‘পুচি ফ্যামেলি’ নামের একটা পেজ থেকে কিছু অর্ডার আসে সেগুলো আমি করে দেই। তারা আমার কাজের ভিডিও বানায় এবং সেটা পোস্ট করে। তারপর থেকে আমার কাজ বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে  পড়ে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও যশোরে খুবই পরিচিত পায় এবং সুনাম  করে। বর্তমানে আমি গিফট বক্স তৈরির কাজ করছি। আমার কাজের মধ্যে বোতলের ক্রাফটগুলো খুব ইউনিক এবং জনপ্রিয়। মাসে প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা  লাভ  হয়  আমার।

নিজের ইচ্ছের কথা বলতে গিয়ে নম্রতা বলেন, আমার ইচ্ছা ভবিষ্যতে আমি বড় একটা ক্রাফটের দোকান দিব।

সময়ের সাথে সাথে নিজরে ব্যবসা আরো প্রসার করতে চায় নম্রতা। বানাতে চায় নিজের একটা ক্রাফটেড এরিয়ার শোরুম।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন