ঢাকা | শনিবার
২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৫০ হাজার পশু

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৫০ হাজার পশু

প্রতিবছর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা ব্যক্তি পর্যায়ে ও খামারিরা গবাদিপশু পালন করে থাকেন। বাড়তি লাভের আশায় অনেকে দুই-তিন মাস আবার কেউ কেউ ছয় মাস আগে থেকে গবাদিপশু পালন শুরু করেন।

এবারও অন্যান্য বছরের তুলনায় ব্যতিক্রম নয়। এরইমধ্যে খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে কোরবানিযোগ্য করে তোলা হয়েছে ৪৯ হাজার ৫শ’ গবাদিপশু। উপজেলায় প্রায় ২হাজার ২০০ খামারিসহ ব্যক্তি পর্যায়ে বাসাবাড়িতে এসব পশু পালন করা হচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

উল্লাপাড়ায় ইতিমধ্যেই এসব পশু বিক্রির জন্য জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে তোলা হচ্ছে। দামদরে মিলে গেলে বিক্রিও করা হচ্ছে। জেলার বাইরের ব্যাপারিরাও খামার থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু কিছু ব্যাপারিরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ব্যক্তি পর্যায়ে পালিত গরু কিনে ঈদের আগে ঢাকা চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার  জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সবমিলিয়ে এ উপজেলায় কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট পড়বে না। দেশীয় পশুতেই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারবেন উল্লাপাড়া উপজেলাবাসী এমনটা প্রত্যশা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার রোধে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খামারি ও পশু পালনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সচেতনতামূলক বার্তা। পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ২শ’ খামারিরা মোট ৪৯ হাজার ৫শ’ গবাদি পশু কোরবানিযোগ্য করে তুলেছেন। এ বছর উপজেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৪ হাজার ৬শ’। চাহিদার অতিরিক্ত পশুগুলো রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে।

জানা গেছে, এ উপজেলায় স্থায়ী হাট রয়েছে ৫টি। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে স্থায়ী হাটসহ প্রায় ১০ টির মতো পশুর হাট বসবে। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুগুলো বিক্রির জন্য তোলা হবে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু হাটে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রচারণা চালাচ্ছে অস্থায়ী হাটের ইজারাদাররা।

উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, উপজেলার চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবে। আবার বিভিন্ন জেলার পশুও এ উপজেলায় আসবে। তাই ঈদে কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট হবে না বরং চাহিদার অতিরিক্ত রয়েছে। এবছর খামারিরা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন