ঢাকা | রবিবার
১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজস্ব আদায়ে ‘কালজয়ী’ রেকর্ড

রাজস্ব আদায়ে ‘কালজয়ী’ রেকর্ড
  • গেল অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বেশি

অর্থবছরের শেষ হতে এখনো একদিন বাকি। এর মধ্যেই চট্টগ্রাম কাস্টমস রাজস্ব আদায়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। চলতি অর্থবছরের ২৭ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৫৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ হাজার ৪৪১ কোটি ৩২ লাখ টাকা বেশি। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। তবে অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এখনো ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে গত অর্থবছরের প্রথমবারের মতো রাজস্ব আদায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।

এ বছর প্রথম ১১ মাসের সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। স্বাভাবিকভাবে অর্থবছরের শেষে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে যাবে এটা একপ্রকার অনুমিত ছিল। মূলত মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি কমে যাওয়া এবং মিথ্যা ঘোষণা আটক পণ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের শুল্ক কর ফাঁকির দ্বিগুণ জরিমানার ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রমতে, চলতি অর্থবছরের ২৭ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩ হাজার ২৬৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৫৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কাস্টমস কর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। মাসভিত্তিক হিসেবে অর্থবছরের জুলাই মাসে আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, আগস্টে ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে ৪ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা, অক্টোবরে ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা, নভেম্বর মাসে ৬ হাজার ৩৭ কোটি টাকা, ডিসেম্বর মাসে ৫ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, জানুয়ারি মাসে ৫ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা, মার্চ মাসে ৫ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, এপ্রিল মাসে ৬ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা, মে মাসে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং জুন মাসে ৫ হাজার ১৩২ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে এ যাবতকালের রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম কাস্টমস ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করে। রাজস্ব আয় বাড়ার অন্যতম কারণ হলো-বর্তমানে উচ্চ শুল্কের পণ্যের আমদানি বেড়েছে, এছাড়া মিথ্যা ঘোষণার চালানে দ্বিগুণ জরিমানা করা হচ্ছে। এর ফলে রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন