টানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ভোর ৬টা থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুর থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চলে ফের নতুন করে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
বাইশ পুকুর এলাকার রহমত আলী বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। কয়েকদিন আগে পানিতে বাড়িঘর নষ্ট হয়ে যায়। পানি কমে যাওয়ায় মানুষজন বাড়িঘর মেরামত করতে শুরু করেছে। আবার পানি প্রবেশ করে তবে এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে পরবে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদী বেষ্টিত কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করলেও এখনো পানিবন্দি হয়ে পড়েনি কেউ। নিচু এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদের সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে, ২১ জুন তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো যা এ মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর ২২ জুন থেকে পানি কমতে শুরু করে। তারপর ২৮ জুন সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। আজ বুধবার দুপুর থেকে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি প্রবাহিত হতে থাকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার নদীর পানি দুপুর থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি