ঢাকা | শনিবার
২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানের দাম ১৪ লাখ!

বিমানের দাম ১৪ লাখ!

এবারের ঈদুল আযহায় কালিয়াকৈরে সবচেয়ে বড় গরু দাবি করা হচ্ছে বিমানকে। প্রায় ৪২ মণ ওজনের ফ্রিজিয়াম হোম জাতের এ গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৪ লাখ টাকা।

দেশীয় খাবার আর পরম আদর যত্নে বিমানকে লালন-পালন করেছেন গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের মেদী আশুলাই  গ্রামের জাকির খান। কোরবানি ঈদের জন্য সুদর্শন ও পুষ্ট বিমানকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের  জাকির খাঁন। তবে তার শখ হচ্ছে গরু পালন। পরে মায়ের নাম দিয়ে (রোকিয়া) একটি ডাইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যাংক থেকে টাকা লোন করেন জাকির খাঁন। পরে ওই খামারে ৪টি গাভী ক্রয় করে পালন করতে থাকে। গত বছর উপজেলার দেওহাটা পশুর হাট থেকে একটি ফ্রিজিয়াম হোম জাত নামে(ষাড়) গরু ১লাখ ১২ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। পরে দুই বছর পালনের পর গরুটির উচ্চতা ৬ফুট ২ইঞ্চি, লম্বা ১৩ফুট, বুকের পরিমান ১০ফুট, মুখ চওড়া ২ফুট ৩ইঞ্চি, গলার বেড় ৫ফুট, শিং ১০ইঞ্চি লম্বা, লেজের দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ১হাজার ৭০০শত কেজি অর্থাৎ ৪০ মণ। কিন্ত গত ১০ দিনে গরুটির আরো ২ মন ওজন বেড়েছে।বর্তমানে গরুটির ওজন ৪২ মনের কাছাকাছি। ওই ষাড়ের পিছনে প্রতিদিন খরচ হয় ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা । গরুটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্বক্ষণিক তিন জন সদস্য কাজ করেন। ওই ফ্রিজিয়াম হোম জাতের গরুর মধ্যে পরিচর্যায় বেড়ে ওঠাই নাম রেখেছেন বিমান।

গরুটি দেখতে আসা  রফিজ,  সামান উদ্দিন  বলেন,  গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাজারো মানুষ উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের মেদী আশুলাই গ্রামের জাকির খাঁনের বাড়িতে ভিড় করছে। তাদের এলাকার লোকজনের মুখে গরুটির গল্প শুনে এতো বড় গরু তাই দেখতে এসেছে তারা। এত বড় গরু কখনোই দেখেনি  ।

গরুর মালিক জাকির খান আনন্দবাজারকে বলেন, নামের যেরকম চমক আছে, ঠিক তেমনি চমক রয়েছে তার দৈহিক গঠনের। আমি অনেক যত্নসহকারে  বড় করেছি, গরুটির ৪২ মন মাংস হবে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বিমানকে লালন পালন করা হয়েছে। তিনি জানান,  ১৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারলেই তার স্বপ্ন পূরণ হবে।

কালিয়াকৈর উপজেলা অতিরিক্ত প্রাণী সম্পদ ডা: রাশেদুজ্জামান মিয়া  জানান, কালিয়াকৈর উপজেলায় ১হাজার ৬শত খামারী রয়েছে। তবে  কোরবানি  ঈদকে সামনে রেখে এবার উপজেলায় ২৪ হাজার ৯শত ৪৫টি গরু মোটাতাজা করণ করা হয়েছে। দেশীয়  খাবার  দিয়েই  বিমানকে  লালন-পালন  করা হয়েছে।  আশা করা যায় অবশ্যই  খামারীরা লাভবান হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন