পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ। আজ উদ্বোধনের পরদিন ভোর থেকে এই সেতু সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে সর্বসাধারণের আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে সেতুর খুঁটিনাটি এবং খরচের বিভিন্ন খাত সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখা যায় মানুষের। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বে পাঁচটি রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।
নদীশাসন
পদ্মা সেতু তৈরির আগে নদীশাসনসংক্রান্ত কাজ বিস্ময় ছড়িয়েছে বিশ্বে। এ সেতু স্থাপনে ও রক্ষায় ১৪ কিলোমিটার এলাকা নদীশাসনের আওতায় আনা হয়েছে। এত গভীরে আর নদীশাসনও কোথাও হয়নি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেন ব্যবহার
পদ্মা সেতু নির্মাণে পিলারের ওপর স্প্যান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটি বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বে প্রথম কোনো সেতু তৈরিতে এত দীর্ঘ সময় ক্রেনটি ভাড়ায় থেকেছে।
গভীরতম পাইল
মাটির ১২০ থেকে ১২৭ মিটার গভীরে গিয়ে পাইল বসানো হয়েছে। পৃথিবীর অন্য কোনো সেতু তৈরিতে এত গভীরে গিয়ে পাইল প্রবেশ করাতে হয়নি। এটি একটি বিশ্বরেকর্ড।
১০ হাজার টনের বিয়ারিং
রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে টিকে থাকবে পদ্মা সেতু। এর অন্যতম কারণ এই সেতুতে ব্যবহৃত ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’-এর সক্ষমতা ১০ হাজার টন। এখন পর্যন্ত কোনো সেতুতে এমন সক্ষমতার বিয়ারিং লাগানো হয়নি। এটি আরেকটি বিশ্বরেকর্ড। বিয়ারিংসংক্রান্ত আরেকটি বিশ্বরেকর্ড হলো এর পিলার। স্প্যানের মধ্যে ১০ হাজার ৫০০ টন ওজনের একেকটি বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। পৃথিবীতে এর আগে কোনো সেতুতে এমন বড় বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়নি।
সেতু নির্মাণে কংক্রিট ও স্টিলের ব্যবহার
পদ্মা সেতু নির্মাণে কংক্রিট এবং স্টিল উভয়ই ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বে আর কোনো সেতু নির্মাণে কংক্রিট এবং স্টিল একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়নি। অর্থাৎ সেতুগুলো হয় কংক্রিটে নির্মিত, নাহয় স্টিলের। পদ্মা সেতুর আরেকটি বিষয় চমকপ্রদ। তা হচ্ছে মাইক্রো ফাইন সিমেন্টের ব্যবহার।