ঢাকা | মঙ্গলবার
১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুটপাতেই জীবনের কোলাহল

ফুটপাতেই জীবনের কোলাহল
  • সন্ধ্যা নামতেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিলনমেলা

জীবিকার ত্যাগিদে ও ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে রাজধানীসহ তার আশপাশের এলাকায়। এই ইটপাথরের নগরীতে সবাই যে যার মতো ব্যস্ত। এখানে কারো দিকে কারো ফিরে তাকানোর একটু সময়ও নেই।

কাক ডাকা ভোর থেকেই ব্যস্ততা শুরু হয় জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এসব মানুষের। যে যার মতো পেশা বেছে নিয়ে কাজ শুরু করে। কেউ গার্মেন্টস কর্মী, কেউ রিকশা চালক, কেউ বিভিন্ন কোম্পানি কর্মী কিংবা বড় বস। আবার কেউ বা বসে ফুটপাতে। পসরা সাজায় বিভিন্ন ব্যবসার।

আশুলিয়া থানার কাছেই নবীনগর, পল্লীবিদ্যু, বাইপাইল, জামগড়া, রপ্তানি এলাকায় ঘুরে ঘুরে দেখা যায় রাস্তার দু’পাশ দিয়ে চাল ডাল, সবজি, জামা কাপড়সহ অসংখ্য দোকানপাট।

সেলিম হোসেন (৩৫) নামের একজন সবজি ব্যবসায়ী বলেন, আমরা যারা ফুটপাতে ব্যবসা করি তারা সকালে আড়ৎ থেকে সবজি পাইকারি কিনে এনে তা বিক্রির যোগ্য করে রাস্তায় পাশে বসে পড়ি বিকেল ৩টার মধ্যেই। বেচাকেনা শুরু হয় বিকেল থেকে রাত ১১ অবধি। তবে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। এসময় বেশির ভাগ গার্মেন্টসে ছুটি হয়। আর গার্মেন্টসকর্মীরা ভিড় করেন দোকানে দোকানে।

আশুলিয়ায় ফুটপাতের দোকানের নিয়মিত ক্রেতা পোশাককর্মী শিরিন আক্তার (২৯) বলেন, স্থায়ী বাজারের চেয়ে ফুটপাতের দোকানে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্য কিনতে পারি একটু সস্তায়। প্রতিদিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ফুটপাতের দোকান থেকেই কেনাকাটা করি। আরেকজন ক্রেতা বললেন, এই ফুটপাতের বাজারগুলো না থাকলে আমাদের চলা আরও কষ্টকর হতো। আমরা এখানে কম টাকায় একটু ভালো মতো বাজার করতে পারি।

এই ফুটপাতে ব্যবসা করছেন বরাত হোসেন (৪৫)। জানতে চাইলে বলেন, আমরা এখানে ব্যবসা করে বেশ ভালোই আছি। অল্প লাভে ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারি। তাতে ক্রেতারাও কম দামে পণ্য পেয়ে অনেক খুশি হন।

এই চড়া বাজারে কম দামে কীভাবে পণ্য বিক্রি করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বরাত বলেন, আমাদের দোকান ভাড়া দিতে হয় না। শুধু কারেন্ট বিল আর টুকটাক কিছু চাঁদা দিতে হয়। খরচ কম হওয়ায় কম দামে পণ্য কিনে কম দামেই বিক্রি করতে পারি।

ফুটপাতের এসব দোকানির জীবন চলে অল্প আয়ের মানুষের মতোই। বেশি চাহিদা নেই তাদের। জীবন তাদের কাছে সংক্ষিপ্ত। তবে তারা স্বপ্ন দেখেন বড় হওয়ার। বড় ব্যবসায়ী হওয়ার।

সংবাদটি শেয়ার করুন