- যেখানে দেখিবে ছাই
নওগাঁর আত্রাইয়ে পুকুর খনন করতে গিয়ে কথিত মন্দিরের সন্ধান মিলেছে। এ মন্দির দেখতে সেখানে প্রতিদিন শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। পুকুরটি উপজেলার দীঘা বামনপাড়া পাকা সড়ক সংলগ্ন স্থানে। গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীঘা গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক সময়ের জমিদার মৈত্রী পরিবারের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ছিল। দেশভাগের পর এ সম্পত্তিগুলো এলাকার লোকজন ক্রয় করেন। পরবর্তীতে এরই কিছু অংশ ক্রয় করেন বর্তমান আত্রাই উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এবাদুর রহমান। সম্প্রতি দীঘা বামনপাড়া পাকা সড়ক সংলগ্ন স্থানে তাঁর ক্রয়কৃত একটি জমিতে পুকুর খননকালে সেখানে ৫ থেকে ৬ ফুট মাটির নিচে ইটের তৈরি একটি স্থাপনার সন্ধান মিলে। মুহূর্তের মধ্যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত লোক এ স্থাপনা দেখতে সেখানে ভীড় জামায়।
এ ব্যাপারে ওই গ্রামের আতাউর রহমান বলেন, এ জমিটি একটি ভিটা মাটি ছিল। প্রথমে এ গুলো হিন্দু জমিদার মৈত্রী পরিবারের জমি ছিল। তাদের আমলেই এখানে হয়তবা কিছু করা হয়েছিল। এটি সেটারই নিদর্শন হতে পারে।
এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে তারা মাটি কাটতে গিয়ে প্রথমে বালুর খনি বের হয়। সেখান থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার মেশিন বসানো হয়। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনকালে এর পর ইটের স্থাপনার সন্ধান মিলে। এখন এর মধ্যে যে কী রহস্য লুকিয়ে আছে তা এক উপর ওয়ালা ভালো জানেন।
এ ব্যাপারে জমির মালিক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এবাদুর রহমান বলেন, এটি ইটের একটি স্তুপ, বৌদ্ধদের কোনো কবরের উপর নির্মিত স্তুপ হতে পারে।
এ ব্যাপারে আত্রাই থানার অফিসার ইচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আদৌ এটি মন্দির না অন্য কিছু তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি আমি প্রত্নতত্ব বিভাগকে জানাবো। তারা এটি নির্ণয় করতে পারবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। আমাকে ওসি সাহেব ছবি দেখিয়েছেন। আমি বিষয়টি প্রত্নতত্ব বিভাগকে জানাবো।