ঢাকা | মঙ্গলবার
১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণধর্ষণের পর হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি

গণধর্ষণের পর হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি

টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধষর্ণের পর হত্যার দায়ে তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই মামলার আরেক আসামীকে বেকুসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডিতরা হচ্ছেন, জেলার গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ দাস, ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিঞ্জাপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান। এছাড়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একই গ্রামের মেহেদী হাসান টিটুকে বেকুসুর খালাস প্রদান করা হয়।

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের খোকন মিয়ার স্কুল পড়ুয়া খোদেজা খাতুন ২০২১ সালের ২ আগস্ট বাড়ি থেকে নানির বাড়ি যাওয়ার উদ্যেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে কোথাও না পেয়ে ৪ আগস্ট গোপালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করতে যান খোকন মিয়া। পরে থানা থেকে তাকে জানানো হয় মেয়ের একটি ছবি নিয়ে আসতে হবে। এ কথা শুনে ছবি আনতে বাড়িতে চলে যান খোদেজার স্বজনরা। ওইদিনই ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর যমুনা নদীর পারে বস্তাবন্দি একটি মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ময়নাতদন্তের পর নিহতের কোন পরিচয় না পাওয়ায় ওইদিনই বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি উপজেলার ছাব্বিশা কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছবি দেখে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার হওয়া লাশটি খোদেজার বলে শনাক্ত করে । নিহতের বাবা খোকন মিয়া বাদি হয়ে ৬ আগস্ট ভূঞাপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। তথ্য ভিত্তিতে গণধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত শ্রী কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয়, মিজানুর রহমান  ও মেহেদী হাসান টিটুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

আদালত সাক্ষ্য প্রমান শেষে তিনজনের ফাঁসি ও একজনকে খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষনার পর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত শ্রী কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও মিজানুর রহমানকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন