ঢাকা | শুক্রবার
৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদী দখল করে বাড়ি নির্মাণ

নদী দখল করে বাড়ি নির্মাণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর এলাকায় খাটাখালি নদীর তীর মাটি দিয়ে ভরাট করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় খাটা খালি নদীর দুই কূল কৃত্রিমভাবে মাটি দিয়ে ভরাট করার কারণে দিন দিন নদী ছোট হয়ে আসছে। এতে নদীর প্রস্থকমে ও তলদেশে মাটি ভরাট হয়ে নদীটি মরে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে ওই ঘাটাখালি নদীর দুই পাশে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ দোকানপাট, মসজিদ, বাড়ি, অফিস গড়ে তুলেছেন।

জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের লতিফপুর এলাকার জোড়া ব্রিজ থেকে উত্তর দিকে নদীর পূর্ব পাশ দিয়ে উত্তরের দিকে একটি পাকা সড়ক চলে গেছে। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই স্থানীয় আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর শত শত শিক্ষার্থী ও ইজিবাইক, অটোরিক্সা, প্রাইভেটকার চলাচল করে। সেই সড়কের পাশে নদী ভরাট করে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করছেন লতিফপুর এলাকার নূরুল ইসলাম নামের একব্যক্তি। এলাকাবাসী জানান, নদীর তীর ও নদীর গর্ভে থাকা জমি সরকারি থাকায় কেউ দখল করে অবৈধ স্থাপনা করতে পারবে না।

পথচারী ও শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই স্কুলে যাতায়াত করি। এ সড়কটি এমনি সুরু থাকায় দুটি গাড়ি বা অটোরিক্সা সহজে যাতায়াত করতে পারে না। তারপর যদি সড়ক ও নদীর তীর দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে তাহলে এ সড়কে যাতায়াতে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হবে।

স্থানীয় দুলাল উদ্দিন ইয়ার উদ্দিন ও কবীর হোসেন জানান, তুরাগ নদীর মুখ থেকে প্রায় তিন কিলোমিটারের মধ্যে নদীর তীর দখল করে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়ি, মসজিদ, দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর সহকারি শিক্ষক জানান, নদী ঘেঁষে যেভাবে দখল করে ঘরবাড়ি তোলা হচ্ছে তাহলে এ সড়ক দিয়ে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাস দিয়ে অনায়াসে যাতায়াত করা সম্ভব হবে না। তাই নদী দখল করে এ সড়কের পাশে অবৈধ ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধের দাবি জানাই।

বাড়ি নির্মাণকারী ব্যক্তি নুরুল ইসলাম জানান, সড়কের নদীর পশ্চিশপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাটা খালি নদীতে আরো ৫৫ ফুট জমি আমার নামে খাজনা খারিজ করা। তাই নদীর তীর ভরাট করে নতুন একটি বাড়ী নির্মাণ করছি।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নাই। তবে কেউ যদি নদীর জায়গা ভরাট করে অবৈধ দখল করে এবং এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন