কুড়িগ্রামের উলিপুরে লিচুর বাজার জমজমাট লস নেই লাভে ব্যাবসায়ীরা। ক্রেতার উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। ক্রেতারা লিচুবিক্রেতার সাথে দরদাম কষাকষির পর লিচু কিনছেন।
উপজেলার গবার মোড় সহ রাস্তার ধারে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, এখন লিচুর মৌসুম হওয়ায় লিচুর দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বিভিন্ন রং এর লিচু নিয়ে বসে আছে লিচু বিক্রেতারা। ক্রেতারাও আনন্দ উল্যাসের মাধ্যামে লিচু কিনছেন। জানা যায়, লিচুর দাম হাতের লাগালে থাকায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় এসব লিচুর দোকান গুলোতে। ক্রেতারা লিচু কিনতেছেন ৩শত থেকে ৩শত ত্রিশ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বিভিন্ন জাতের লিচু আমদানি করেন। জাত গুলোর মধ্যে বোম্বাই লিচু, মাদ্রাজ লিচু, চায়নাটু লিচু এবং কাঠালি লিচু। এসব লিচু আমদানি করে থাকেন দিনাজপুর থেকে।
লিচু বিক্রেতার মধ্যে আনারুল, জাহাঙ্গীর, নাসির, রতন, হামিদুল, সূবল সহ আরও অনেকে বলেন, এবারে লিচুর বাজার জমজমাট। লিচু বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান লিচুর চাহিদা অনেক বেশি। তারা আরও বলেন লিচুর দাম হাতের লাগালে থাকায় প্রতিদিন অনেক লিচু বিক্রয় করতে পারি।
লিচু ক্রেতাদের মধ্যে দেবাসিস শাহা, বাচ্চু মিয়া, বাতেন মিয়া, সন্তোষ কুমার সহ আরও অনেকে বলেন, এবারে লিচু অনেক সু-স্বাদু এবং দামও হাতের লাগালে। পরিবারের চাহিদা থাকার কারনে আমরা লিচু কিনতেছি। অনেক স্বস্তির মধ্যে লিচু পাওয়া যাচ্ছে। তারা আরও বলেন বর্তমান বাজারে বিভিন্ন জাতের সু-স্বাদু লিচু পাওয়া যাচ্ছে। যা খেতে অনেক স্বাদ।
লিচুর ব্যাপারী উজ্জল বলেন, আমরা লিচু আমদানি করি দিনাজপুর থেকে। আমাদের লিচুর শ’ প্রতি খরচ হয় ২শত পঞ্চাশ থকে ২শত সত্তর টাকা। আমরা বাজারে লিচু বিক্রয় করি ৩শ’ টাকা থেকে ৩শ’ ত্রিশ টাকা পর্যন্ত। আমাদের লিচুর শ’ প্রতি লাভ হয় ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন লিচু বিক্রি করি ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত। তাতে প্রতিদিন আমাদের লাভ হয় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।”