- মজুত সিন্ডিকেট ভাঙতে মিল-গুদামে তল্লাশি
তেলের পর কয়েকদিন ধরে দেশের বাজারে চলছে চাল নিয়ে চালবাজী। হঠাৎ করেই দাম বেড়ে গেছে মান বেঁধে ৫ থেকে ৮ টাকা করে। এতে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে চালের বাজার। বাজার নিয়ন্ত্রণে এবার মিল ও গুদামে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর আগে চালের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে খুচরা ও পাইকারি বাজারে অভিযান চালানো হয়।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘চালের মজুদ, সরবরাহ, এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মিল মালিক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা পর্যায়ে আলোচনা সভায়’ এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন- চালের মিল মালিক, সিটি, প্রাণ, আকিজ, মেঘনা, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলসহ বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজের প্রতিনিধি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে যেভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে ঠিক সেইভাবে কোনো একটি গোষ্ঠী আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাজারে। উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, তাই চালের দাম বাড়বে এমন তথ্য বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে চালের দাম বাড়ানো হয়। যারা এভাবে বাজারকেও অস্থির করার চেষ্টা করছে, তাদের শনাক্ত করা দরকার।
সফিকুজ্জামান জানান, সরকার এ বছর মোট ১১ লাখ টন চাল কিনবে। মিল মালিকদের কাছে কী পরিমাণ চাল মজুদ আছে, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মিল মালিকদের এ তথ্য ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। এরপর আগামী সপ্তাহে চালের মিলে অভিযান করা হবে”, বলেন তিনি। সভায় প্যাকেটজাত চালের দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান।