ঢাকা | বুধবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এত বিকট বিস্ফোরণ আগে ঘটেনি

এত বিকট বিস্ফোরণ আগে ঘটেনি

সীতাকুণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনা অনেকটা গা সওয়া। উপকূলীয় এলাকায় গড়ে ওঠা শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে নিয়মিত বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটে হতাহতের ঘটনাও। তবে শনিবার রাতের বিস্ফোরণ ছিল অন্যরকম। স্থানীয়রা বলছেন, এ রকম বিস্ফোরণ এর আগে ঘটেনি।

সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল ঘনাস্থলে: আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর ২০০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল চট্টগ্রামে এসেছে। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি এলাকার বিএম ডিপোতে ক্রমশ ছড়িয়ে আগুন। বিভিন্ন কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুনের ব্যাপকতা নিয়ন্ত্রণে আসা সম্ভব হচ্ছে না। তার ওপর মালিকপক্ষের লোকজন না থাকায় কোথায় কি পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ আছে তা আচ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর অন্তত ২০০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল এসেছে।

সেনাবাহিনীর এ দল বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। এটা সেনাবাহিনীর ফায়ার এক্সপার্ট টিম। তারা বলছেন, বাতাসে যে কেমিক্যালের মিশ্রণ হয়েছে তাতে ঝাঁঝালো পদার্থ রয়েছে। ফলে স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের চোখ আর গলায় জ্বলাভাব অনুভূত হচ্ছে। তার মানে এখানে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে।

চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ওয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটিলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা চৌধুরী বলেন, একেতো বাতাসের তীব্র গতি তার ওপর বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বরং কিছুক্ষণ পর পর কনটেইনার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। তার ওপর বাতাসটাও বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। ঢাকা থেকে আমাদের ২০০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে। তারা এখন ডিপোর ভেতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করবে। এরপর বোঝা যাবে ভেতরে কি কি রাসায়নিক দ্রব্য আছে।

ফায়ারের ছোড়া পানি যেন কেমিক্যালের সঙ্গে মিশে সাগরে না মিশে সেদিকে খেয়াল রাখছে সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, আমরা ডিপোর পরিচালক বা মালিকপক্ষের কাউকে পাচ্ছি না। অথচ তারা ভালো করেই জানেন ভেতরে কোথায় কি আছে। তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার ফায়ার সার্ভিসসহ আমাদেরও বেগ পেতে হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন