হুইসেল বাজিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে। পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের হই চই ‘আপনারা সরে যান, অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে সাহায্য করুন’।
কিছু অ্যাম্বুলেন্সে একটি, কয়েকটিতে দুটি বা তিনটি লাশ। সবগুলো লাশই গতরাতে সীতাকুণ্ডতে ঘটা বিস্ফোরণের ফলাফল।
এ যেন ঘন্টার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। বিকাল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩। তবে এই ৪৩-এর সঙ্গে যে যুক্ত হবে আরও এক, দুই বা তিন করে সংখ্যা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অ্যাম্বুলেন্সে লাশ বহন করা এক স্বেচ্ছাসেবককে তাই চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা সবাই অ্যাম্বুলেন্সকে জায়গা করে দিন। আরও অনেক লাশ রয়েছে ঘটনাস্থলে’।
এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুন লাগে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
আনন্দবাজার/শহক