নোয়াখালীতে চাঁদাবাজির মামলা করায় সদর উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রবকে (৪৮) প্রকাশ্যে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষা তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে প্রথমে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বর্তমানে তিনি তাঁর রশিদ কলোনির বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত শুক্রবার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর রশীদ কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলেও পুলিশ গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান জানান, তিনি শহরের রশিদ কলোনি এলাকায় একটি বাড়ি করেছেন। শুনেছি স্থানীয় সন্ত্রাসিরা চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না দেয়ায় ওই ঘটনায় ফেব্রুয়ারিতে সুধারাম থানায় মামলা করলে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দা ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার করে। কিছু দিন আগে তিনি জামিনে ছাড়া পান।
আহত আবদুর রবের বরাত দিয়ে বলেন, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় ফজলে এলাহীসহ কয়েকজন তার পথরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। তখন তার ছেলের চিৎকারে মসজিদের অন্য মুসল্লিরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রবকে দেখে এসেছেন। এ ঘটনায় আহত আবদুর রব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ রাতে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।