চিরাচয়িত নিয়মে নদী ভাঙন হয়। যমুনা নদী ভাঙনরোধে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এজন্য সমীক্ষা চলামান রয়েছে। বন্যার আগেই ভাঙনরোধে যমুনা নদীতে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার একটি প্রকল্প পক্রিয়াধীন আছে। চলতি বন্যার মধ্যে কাজটি শুরু করলে টেকসই হবে না। পানি কমে গেলে কাজ শুরু হবে। ফলে পরবর্তী বন্যায় নদী ভাঙন থাকবে না। বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পৌলী গ্রামে যমুনা নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী ভাঙন রোধে পাড় থেকে দেড় থেকে দুইশ’ ফিট দূরে স্পাড় দেয়া হবে। ফলে স্রোতের ধাক্কা সরাসরি পাড়ে লাগবে না। এতে তেমন ভাঙনও হবে না। পলি মাটি পড়ে এই জায়গায় আস্তে আস্তে চর পড়ে যাবে। বিভিন্ন এলাকায় এভাবে কাজ করা হয়েছে। সেখানে ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া জমিতে চাষাবাদসহ বসতবাড়ী করতে পারে। এছাড়াও নদী শাসনের মাধ্যমে গতি পথ সোজা রাখা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। যুগের পর যুগ নদী ভাঙে, নদী গড়ে। নদীর বিভিন্ন জায়গায় চরও জেগে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে প্রাকৃতিকভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা দায়ী নই। যারা সমৃদ্ধশালী দেশ তারাই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তাদের কারনে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী হচ্ছি আমরা।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিওন) মাহবুুর রহমান, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী প্রমুখ।